হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় আরও আটটি বেসরকারি কলেজ সরকারি হচ্ছে। কলেজগুলো হলো কুতুবদিয়া কলেজ, চকরিয়া ডিগ্রী কলেজ, টেকনাফ ডিগ্রী কলেজ, রামু ডিগ্রী কলেজ, মহেশখালী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, বান্দরবানের লামা মাতামুহুরী কলেজ, নাইক্ষ্যংছড়ির হাজি এম.এ.কালাম ডিগ্রী কলেজ ও রুমা সাঙ্গু কলেজ।
একই সঙ্গে সরকারি করা হবে দেশের সর্বমোট ২৭১টি বেসরকারি কলেজ। গত ৮ আগস্ট এসব কলেজ সরকারিকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারি কলেজ পরিদর্শক আবুল কাশেম মো.ফজলুল হক বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেকোন সময় আদেশ জারি করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রতিটি উপজেলায় একটি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনসভায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দেন। তারই আলোকে পর্যায়ক্রমে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হচ্ছে।
দরিদ্র ও অবহেলিত পাহাড়ি অঞ্চল নাইক্ষ্যংছড়িতে হাজি এম.এ কালাম ডিগ্রী কলেজটি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং নানা সময়ে সরকারি করার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ বলেন, এটা ছিল দরিদ্র অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।
এদিকে রামু কলেজ জাতীয়করণে ভূমিকা রেখেছেন একুশে পদকে ভূষিত রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো ও কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল।
সাংসদ কমল বলেন, ‘যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা রামুবাসীর স্বপ্ন পুরণ করেছেন। শুধু রামু কলেজ নয়’ রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কেও সরকারীকরণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’ এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি রামু-কক্সবাজারবাসীর পক্ষে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।