২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

কক্সবাজার জেলা পরিষদে ১৫টি কেন্দ্রের সবকটিই ঝুঁকিপূর্ণ!

সারাদেশের মতো বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে কক্সবাজার জেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫টি। আর এসব কেন্দ্রের সবকটিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীরা।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মহেশখালী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামুর জোয়ারিয়ানালা এইচএম সাঁচি উচ্চবিদ্যালয়, গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা, দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চবিদ্যালয়, উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুম, কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, মহেশখালী কালারমারছড়া ইনুছখালী উচ্চবিদ্যালয়, চকরিয়ার উত্তর বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইলিশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য চকরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুলাহাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও টেকনাফ উপজেলা পরিষদ হল রুম।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় প্রস্তুতি নিয়েছি। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি। কেন্দ্রে কারও কোনও প্রভাব বিস্তার সহ্য করা হবে না। যেকোনও কিছুর বিনিময়ে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবো।
তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন প্রতি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ পুলিশ ও ২ জন স্বশস্ত্রসহ ১৭ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ৪/৫ কেন্দ্র মিলে স্ট্রাইকিংফোর্স মাঠে থাকবে। এছাড়া পুরো জেলায় দুজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র মতে, নির্বাচনে ১৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ১২, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ওয়ার্ড গুলোতে সদস্য পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত নারী আসন ৫-এ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানেও সংরক্ষিত পদে ভোট যুদ্ধ নেই।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (আনারস) ও জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় নেতা এ এইচ সালাহ উদ্দীন মাহমুদ (মোটরসাইকেল) নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির সমর্থনে কোনও প্রার্থী না থাকায় সদস্য পদে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীসহ মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে ৮১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৬৮ এবং নারী ভোটার ২৩৫ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১০০৩ জন। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩০টি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।