কক্সবাজারের উপকুল দিয়ে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া পাচারকালে বঙ্গোপসাগরে ৪৭ জন আদম ভর্তি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ২৭ মার্চ ভোর ৫ টায় কক্সবাজারের হিমছড়িস্থ বঙ্গোপসাগরে আদম ভর্তি ট্রলারটি ডুবে যাওয়া খবর পাওয়া গেছে। ট্রলারে থাকা মালয়েশিয়া গামীগের মধ্যে ৩জন স্কুল কলেজ পডুয়া ছাত্র দীঘক্ষণ সাঁতরিয়ে সাগর তীরে এসে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতরা ট্রলার ডুবির ঘটনা বর্ণনা দিয়েছেন। উদ্ধারকৃত ৩ জনই টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা। তারা হল স্থানীয় হোয়াইক্যং আলী আছিয়া স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র মো: সালাহ উদ্দিন, আলী আছিয়া স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র রাসেল উদ্দিন হিরু। উদ্ধারকৃত এ তিন জন সহ ৪৭ ব্যক্তিকে দালাল চক্র ফাঁদে আটকিয়ে ডুবে যাওয়া ছোট ট্রলারে করে মালয়েশিয়া পাঁচার করছিল। তাদেরকে ২দিন ধরে হিমছড়ির পাহাড়ী এলাকার গোপন আস্তানায় বন্ধি রেখে শুক্রবার ভোর রাতে হিমছড়ি যাদুঘর এলাকার সৈকত দিয়ে ট্রালরে তুলে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলে কিছুদূর গিয়ে ট্রলারে আদম পাচার কারী সিন্ডিকেট লোকজনের সাথে মালয়েশিয়া গামীদের হাতাহাতির ঘটনার এক পর্যায়ে সমুদ্রের ঢেউ ট্রলারটি কাঁদ হয়ে ডুবে যায়। এঘটনায় হতাহতের আশংকা করা হচ্ছে। কুলে ফিরে আসা ৩ জনের অভিভাবকরা এব্যাপারে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া নেয় বলে জানা গেছে। সাগরে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কেটে প্রাণ যুদ্ধ করে কুলে ফিরে আসা ব্যক্তিরা আরো জানায়, হোয়াইক্যং লম্বা বিল এলাকার তালিকাভূক্ত আদম পাচারকারী মৃত জাফর আলীর পুত্র মমতাজ তাদের ৩জন কেই স্থানীয় সম্পর্কের সূত্র ধরে মরিচ্যা এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাদেরকে একটি সিএনজিতে করে কোট বাজার সোনাপাড়া হয়ে হিমছড়ি এলাকায় দালাল চক্রের হাতে তুলে দেয়। সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের কে ২দিন ধরে পাহাড়ী এলাকায় বন্ধি করে জোরপূর্বক ট্রলারে তুলে দেয় বলে অভিযোগ করেন। অভিভাবকরা জানান উপরোক্ত বিষয়ে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।