দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কক্সবাজার বিমান বন্দর সম্প্রসারনের কাজ শুরু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফেরেন্সের মাধ্যমে ২ জুলাই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন। কক্সবাজার বিমানবন্দরে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফেরেন্সে অংশ নেবেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রথম ধাপের এই উন্নয়ন কাজের ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ৫৪৯ কোটি ৬৪.২১ লক্ষ টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে।
মহেশখালি-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানান, বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন হবে ২ জুলাই। একপ্রান্তে কক্সবাজার বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন ২ জন মন্ত্রী। অন্যপ্রান্তে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফেরান্সের মাধ্যম্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্ধোধন করবেন।
সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, কক্সবাজারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ জেলার প্রতিটি উন্নয়ন কাজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী তদারকি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফেরেন্সের মাধ্যমে বিমানবন্দর উন্নয়নকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর সাথে কক্সবাজারে আসেবন সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল।
সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, এপিপি’র আওতায় কক্সবাজার বিমান বন্দরের ১ম পর্যায়ে রানওয়ে বর্ধিতকরণ ও প্রস্তকরণের কাজ হবে। এর পাশাপাশি রানওয়ের পিসিএস বাড়ানো হবে। স্থাপিত হবে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম। এছাড়া বিমানবন্দরের চারপাশের ভ্গংুর দেওয়ালও মেরামত হবে।
এদিকে কক্সব্জাার বিমান বন্দর সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের আওতার ছোট ছোট কাজগুলো শুরু হয়েছে। সীমাণা প্রাচীরের ভাঙ্গা অংশে নির্মিত হচ্ছে দেওয়াল। টুকটাক কাজ চললেও মূল কাজ শুরু হবে ২ জুলাইয়ের পর।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রানওয়ে ৬৭৭৫ ফুট হতে ৯০০০ ফুট পর্যন্ত করা হবে। পাশাপাশি রানওয়ের প্রস্থ বৃদ্ধি করে ১৫০ ফুট হতে ২০০ ফুট করা হবে। এর পাশাপাশি রানওয়ের পিসিএনও বাড়ানো হবে। স্থাপিত হবে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম।
এছাড়া ১ম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএলএস, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেম স্থাপিত হবে। বর্তমানে সীমাণা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে।
বেসমারিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. পারভেজ জানান, এপিপির আওতায় কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়নকরণের কাজ শুরু করতে ২ জুলাই কক্সবাবাজার উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তার সাথে যাবেন আরেকজন মন্ত্রী ও একজন সংসদ সদস্য। দলটি ভিডিও কনফারেন্স করে বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা জানান, ২ জুলাই বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। একপ্রান্থে দুই মন্ত্রী ও অন্য প্রান্থে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাবাসীর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।