বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ড্রেজারের সাথে ধাক্কা লেগে পর্যটকবাহি একটি স্পীডবোট ডুবে গেছে। এতে দুই নারীসহ তিন ভারতীয় পর্যটক ও বোটের চালক নিখোঁজ হন। পরে ভারতীয় পর্যটকদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। সোমবার বেলা ১টার দিকে বাঁকখালী নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজদের যৌথভাবে উদ্ধার করেন দমকল বাহিনী ও নৌ-বাহিনী সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া তিনজনের দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ভারতের কলকাতার বাসিন্দা মঞ্জুলাল ঘোষ (৫৮) ও বিধিকা মন্ডল (৪০)। অন্যজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তাদের পেটে পানি ঢুকে গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম জানান, পর্যটকবাহী স্পীডবোটটি কক্সবাজার থেকে মহেশখালীর উদ্দেশ্য যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে বাঁকখালী মোহনায় এসে সাগর থেকে বালু উত্তোলনরত একটি ড্রেজারের বোটটি ধাক্কা লাগে। এতে স্পীডবোটি উল্টে সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যান। এসময় অন্যবাটের লোকজন সাগরে পড়ে যাওয়া সাত পর্যটক যাত্রীকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করতে সক্ষম। তবে দুই নারীসহ অন্য তিন পর্যটক ও স্পীড বোটটির চালক আনিছ নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারী বাহিনীর নিখোঁজ তিন ভারতীয় পর্যটককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন। চালকের অদক্ষতার কারণে বোটটি ড্রজিংবোটের সাথে ধাক্কা লাগে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
দুর্ঘটনার শিকার ওই বোটের যাত্রী সমিত ঘোষ জানান, তারা কলকাতা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন ১৭ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন সকালে স্পীডবোটে করে আদিনাথ দর্শনে যান। সেখানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের বহনকারি স্পীড বোটটি।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সাফায়েত হোসেন সাগর বলেন, নৌবাহিনীর সহায়তায় দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধার করি। চালক নিখোঁজের কথা বলা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মনে হয় সাঁতার জানা থাকায় তিনি সাঁতরে কুলে উঠে লোকান্তর হয়ে গেছে।
মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আবুল কালাম বলেন, কি কারণে স্পীডবোটটি দুর্ঘটনা শিকার হয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।