২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার শহরে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ট্রাফিক পুলিশের

এমরান ফারুক অনিকঃ কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন গাড়ির মালিক, ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষ।

সূত্রে জানা গেছে, সদ্য শো-রুম থেকে ক্রয় করে সড়কে গাড়ি নামালেই ট্রাফিকের নির্দিষ্ট চাঁদার পরিমাণটি জমা দিতে হয় জনৈক ব্যক্তিকে। এছাড়া লাইসেন্স থাকুক আর না থাকুক ‘মান্থলি’ নামে মাসিক চাঁদা আদায় করে এই ট্রাফিক বিভাগ। বৈধ কাগজ থাকলেও ট্রাফিকের নির্দিষ্ট চাঁদা থেকে রক্ষা নেই। নিয়মিত চাঁদার টাকা না দিলে রিকুইজিশনের পাশাপাশি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় চালক ও মালিকদের। এভাবে প্রতি মাসে বিভিন্ন যানবাহন থেকে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চাঁদা।
আর এই চাঁদা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন- কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের মো. জালাল, আবদু রহিম, নিউটন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ সহ অনেকেই।
ট্রাফিকের বিভাগের এহেন আচরণের ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রাজ অভিযোগ করে বলেন, আজ সকাল ১১টায় ভার্সিটি যাওয়ার পথে কলাতলি ডলফিন মোড়ে আমাকে সিগন্যাল দেয়া হয়। গাড়ি থামানোর পর কাগজপত্র দেখতে চাইলে, সকল কাগজ বৈধতা থাকার পরেও হেলমেইটের জন্য চাঁদা দাবি করেন। ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা দাবি করায়, আমি নিজের সাংগঠনিক পরিচয় দেয়ার পর সে রাগান্বিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ছাত্রলীগের নামে নানান কটুকথা বলেন।
ট্রাফিক বিভাগের নানা আচরণের অভিযোগ তুলেন- কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সিয়াম মাহমুদ সোহেল, শরীফ হোসেন সিকদার, বাংলাবাজারের আবদুল্লাহ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম হৃদয়, লিংকরোডের ছৈয়দ আহমদ সিকদার, শহরের টেকপাড়ার আবদুল্লাহ, পাহাড়তলীর সৈয়দসহ আরো অনেকেই।
ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিয়াম মাহমুদ সোহেল। তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেন- “কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ট্রাফিক পুলিশ মো. জালালের চাঁদাবাজি।” এ ব্যাপারে ছাত্রনেতা সোহেল বলেন, এভাবে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি হলে সাধারণ গাড়ির মালিক, চালক কোথায় যাবে? ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত আইনের বাইরে গিয়ে নানা ধরণের হয়রানি করে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে।
এ ব্যাপারে যানবাহন মালিক, ড্রাইভার ও সাধারণ জনগণ ট্রাফিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।