কক্সবাজার প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটক সেবা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কার্য বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।
তিনি বলেন, দূর্যোগ মোকাবেলায় সকলের সহযোগিতা দরকার। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগরের পানি ধরী ধীরে উত্তাল হতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতা অবলম্বন করতে মাইকিং করা হয়। অনেক পর্যটক আমাদের বিধিনিষেধ মানছেন না। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্বার্থে সমুদ্র সৈকতের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটক সেবা কিটকট (চেয়ার), ঘোড়া, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক, চটপটির দোকান, ভ্রাম্যমাণ দোকান, ছাতা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ বিচের আশপাশের যেসব দোকানপাট আছে সেগুলো সাময়িক বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো খুলে দেয়া হবে। এ সময়ে আমাদের অগোচরে কেউ যেন দোকান খুলতে না পারে সেজন্য দোকান মালিক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার কিটকট (চেয়ার) সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার বিকেলের দিকে জেলা প্রশাসন থেকে কিটকট (চেয়ার) বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুপুর আড়াইটার দিকে একটু স্বস্তির বৃষ্টি হয়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো: আব্দুর রহমান বলেন, শুধু বৃষ্টি নয়, ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের বিভিন্ন প্রভাব থসকে। কিন্তু আগামীকাল ১৩’মে বিকেল কিংবা সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব সম্পর্কে আমরা বুঝতে পারবো। তবে প্রাথমিকভাবে তাপমাত্র কমে যাওয়াকে মোখার প্রভাব বলে মনে করছি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তাপমাত্র ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শুক্রবার সেটি ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। বর্তমানে ৪ নাম্বার সর্তকতা হুশিয়ারি সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে উপকূলে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে। এসময়ে জনগণকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।