শাহেদ মিজান;
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ভয়ে ঘরবন্দি সব মানুষ। পেটের দায় পড়লেও শ্রমিকেরাও প্রাণের ভয়ে গৃহবন্দি। এতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক হাফেজ আহামদ। উপায়ন্তর না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন এই কৃষক। সে খবর পান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীন। কৃষক হাফেজ আহামদ শ্রমিক সংকটে দিশেহারার হওয়ার কথা জেনে লকডাউনের বাধ্যতামূলক গৃহবন্দি জীবনেও ঘরে বসে থাকেননি আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন। করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে আরো ৩০জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে চলে গেছেন কক্সবাজার শহরের অদূরে খুরুশ্কুল ইউনিয়নে কৃষক হাফেজ আহমদের পাকা ধানের মাঠে। কাস্তে হাতে সবাই নেমে পড়েন ধান কাটতে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) ছাত্রলীগর ৩০ নেতাকর্মীকে নিয়ে কৃষক হাফেজ আহমদের দুই কানি (৮০ শতক) জমির পাকা কেটে দিলেন মইন উদ্দীন।
এই প্রসঙ্গে কৃষক হাফেজ আহমদ বলেন, চৈত্রের ধান পাকার এই সময়ে আমার দুইকানি জমির পেকে গেছে। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন বহুভাবে চেষ্টা করেও কোনো শ্রমিক যোগাড় করতে পারিনি। কিছু শ্রমিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিকে পাওয়া গেলেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তারা ধান কাটতে আসেনি। এদিকে ধান পেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এতে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। আজ (শনিবার) দেখলাম একদল যুবক এসে আমার মাঠের পাকা ধান কাটছে। তারা ধানতে কাটতে নামার পরই আমি খবরটি পাই। পরে তাদের সাথে আমিও যোগ দিই। তারা দুই কানি জমির ধান কেটে দিয়ে পরে অধিকাংশ বাড়িতেও পৌঁছে দেন। এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন বলেন, দেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থের জন্যই রাজনীতি করে এসেছে। দেশ রক্ষার আন্দোলন ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়েও সব সময় সমস্যাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁিড়য়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমানেও আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সব সময় এমন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারার খবর পেয়ে আমরা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ৩০ জন নেতাকর্মী গিয়ে কৃষক হাফেজ আহমদের পাক ধান কেটে দিয়েছি।
মইন উদ্দীন বলেন, করোনা ভাইরাসের এই মহা সংকটকালীন মুহূর্তে কৃষক হাফেজ আহমদ তার অনেক শ্রম ও অর্থের বিনিময়ে চাষ করা ধান শেষ পর্যন্ত শ্রমিকের অভাবে ঘরে তুলতে পারবে না; তা আমরা মানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার সহযোদ্ধা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অসহায় কৃষক হাফেজ আহমদকে মানবিক সহায়তা দিয়েছি। এই কাজটি করতে পেরে আমরা অনেক গর্বিত।
এদিকে কৃষকের পাকা ধান কেটে দেয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ব্যাপক প্রসংশিত হয় ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মীরা। এই দৃশ্যটি ফেসবুকে ইতোমধ্যে বেশ ভাইরাল হয়েছে। নানাজন নানাভাবে তাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বেও ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নানা মানবিক কাজে সাধারণ মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সর্বশেষ করোনার ভাইরাস মুক্ত রাখতে নিজেরা হ্যান্ড সেনিটাইজার বানিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। ফ্রি মুখের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাবস বিতরণ, লিফলেট বিলিসহ অসহায় ও মধ্যভিত্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। এমনকি নিজেই মাইকিং করেছেন।
ভয়ে ঘরবন্দি সব মানুষ। পেটের দায় পড়লেও শ্রমিকেরাও প্রাণের ভয়ে গৃহবন্দি। এতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক হাফেজ আহামদ। উপায়ন্তর না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন এই কৃষক। সে খবর পান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীন। কৃষক হাফেজ আহামদ শ্রমিক সংকটে দিশেহারার হওয়ার কথা জেনে লকডাউনের বাধ্যতামূলক গৃহবন্দি জীবনেও ঘরে বসে থাকেননি আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন। করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে আরো ৩০জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে চলে গেছেন কক্সবাজার শহরের অদূরে খুরুশ্কুল ইউনিয়নে কৃষক হাফেজ আহমদের পাকা ধানের মাঠে। কাস্তে হাতে সবাই নেমে পড়েন ধান কাটতে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) ছাত্রলীগর ৩০ নেতাকর্মীকে নিয়ে কৃষক হাফেজ আহমদের দুই কানি (৮০ শতক) জমির পাকা কেটে দিলেন মইন উদ্দীন।
এই প্রসঙ্গে কৃষক হাফেজ আহমদ বলেন, চৈত্রের ধান পাকার এই সময়ে আমার দুইকানি জমির পেকে গেছে। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন বহুভাবে চেষ্টা করেও কোনো শ্রমিক যোগাড় করতে পারিনি। কিছু শ্রমিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিকে পাওয়া গেলেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তারা ধান কাটতে আসেনি। এদিকে ধান পেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এতে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। আজ (শনিবার) দেখলাম একদল যুবক এসে আমার মাঠের পাকা ধান কাটছে। তারা ধানতে কাটতে নামার পরই আমি খবরটি পাই। পরে তাদের সাথে আমিও যোগ দিই। তারা দুই কানি জমির ধান কেটে দিয়ে পরে অধিকাংশ বাড়িতেও পৌঁছে দেন। এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন বলেন, দেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থের জন্যই রাজনীতি করে এসেছে। দেশ রক্ষার আন্দোলন ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়েও সব সময় সমস্যাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁিড়য়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমানেও আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সব সময় এমন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারার খবর পেয়ে আমরা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ৩০ জন নেতাকর্মী গিয়ে কৃষক হাফেজ আহমদের পাক ধান কেটে দিয়েছি।
মইন উদ্দীন বলেন, করোনা ভাইরাসের এই মহা সংকটকালীন মুহূর্তে কৃষক হাফেজ আহমদ তার অনেক শ্রম ও অর্থের বিনিময়ে চাষ করা ধান শেষ পর্যন্ত শ্রমিকের অভাবে ঘরে তুলতে পারবে না; তা আমরা মানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার সহযোদ্ধা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অসহায় কৃষক হাফেজ আহমদকে মানবিক সহায়তা দিয়েছি। এই কাজটি করতে পেরে আমরা অনেক গর্বিত।
এদিকে কৃষকের পাকা ধান কেটে দেয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ব্যাপক প্রসংশিত হয় ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মীরা। এই দৃশ্যটি ফেসবুকে ইতোমধ্যে বেশ ভাইরাল হয়েছে। নানাজন নানাভাবে তাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বেও ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নানা মানবিক কাজে সাধারণ মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সর্বশেষ করোনার ভাইরাস মুক্ত রাখতে নিজেরা হ্যান্ড সেনিটাইজার বানিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। ফ্রি মুখের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাবস বিতরণ, লিফলেট বিলিসহ অসহায় ও মধ্যভিত্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। এমনকি নিজেই মাইকিং করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।