১৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

কক্সবাজারে কাউন্সিলর প্রার্থীর টাকা বিতরণের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিককে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা এক সাংবাদিককে মারধর করেছে।রবিবার রাত ১২ টার দিকে শহরের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরে শিকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার।
মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মধ্যরাতে আচরণবিধি লংঘন করে প্রচারণা ও টাকা বিতরণের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ওখানে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ নিজের উপস্থিতিতে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের সাথে আলোচনা এবং টাকা বিতরণ করতে দেখা যায়। এ দৃশ্য প্রমাণ সরূপ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে নেন তিনি। এর মধ্যে জামশেদ ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে থেকে সরে সামনের দিকে এগিয়ে এসে তাকে ঘীরে ফেলেন। এর মধ্যে কয়েকজন যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাকে জিম্মি করে জামশেদ হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেন। তারপর জামশেদ তাকে গালিগালাজ করে মারধর করেন। ঘটনাস্থল অন্যান্য মানুষ জড়ো হলে জামশেদ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত এজাহার এবং নির্বাচন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়ায় আছেন।
এব্যাপারে আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার কিছু সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী গোপন বৈঠক করছিলেন তিনি। এসময় একজন প্রার্থীকে সাথে নিয়ে মিজান গিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলেন। তার গোপন বৈঠকে না ডাকার পরও এসে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে নিষেধ করা হয় এবং ধারণ করা ভিডিও ছবি ডিলেট করে দেয়া হয়।

রাত ৮ টার পর প্রচারণা নিষেধের পরও কিসের গোপন বৈঠক এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি জামশেদ। তিনি জানান, মিজান তার প্রতিপক্ষের প্রার্থীর পক্ষে হয়ে এমন ঘটনাটি করেছেন।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবহিত হয়েছেন। মধ্যরাতে প্রার্থী বৈঠক বা গনসংযোগ বিষয়টি সন্দেহজনক। এব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা সম্পর্কে এখনও লিখিত এজাহার হাতে আসেনি। হাতে আসার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।