এম.এ আজিজ রাসেল:: কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৩৪টি স্থানে কোরবানী পশু জবাই করার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য অপসারণে থাকবে বিশেষ দল। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ে মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সমাজপতিরা। নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য স্থানে পশু জবাই করলে গর্ত করে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ মাটি চাপা দিতে হবে। জবাইয়ের পর উচ্ছিষ্ট অংশ নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। রবিবার (৪ আগষ্ট) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, এবার জেলায় ৪৪টি কোরবানীর পশুর হাট বসবে। এসব হাটে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। জালনোট সনাক্তকরণের মেশিন বসাবে ব্যাংকগুলো। পশুর স্বাস্থ্য নিরিক্ষণে থাকবে মেডিকেল টিম।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহামন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এডিএম মোঃ শাজাহান, প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান, প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির, কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, কাউন্সিলর ওমর ছিদ্দিক লালু, কাউন্সিলর আকতার কামাল, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন সিকদার, কাউন্সিলর শাহেনা আকতার পাখি, কাউন্সিলর জাহেদা বেগম ও কাউন্সিলর ইয়াসমিন আক্তার। প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা কাশেমী।
পৌরসভার তথ্যানুযায়ী ৩৪ স্থানে পশু জবাইয়ের নির্দিষ্ট জায়গাগুলো হলো-
১ নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া বাজার মাঠ, কুতুবদিয়া পাড়া উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও কুতুবদিয়া পাড়া।
২ নং ওয়ার্ডের- উত্তর নুনিয়ছড়া তিন রাস্তার মোড়, রাশিয়ান ফিশারী হাজী হাছন আলী স্কুল মাঠ, উত্তর নুনিয়রছড়া আর্মি মাঠ।
৩নং ওয়ার্ডের- বড় বাজার ও বঙ্গবন্ধু সড়ক।
৪নং ওয়ার্ডের- টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজ কমিটি মাঠ, টেকপাড়া বড় পুকুর পাড় ও পূর্ব টেকপাড়া।
৫নং ওয়ার্ডের- এস এম পাড়া আমি হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট মাঠ ও জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়।
৬ নং ওয়ার্ডের ডিককুল হাজীর মক্তব মাঠ ও সিকদার পাড়া সাইক্লোন সেন্টার মাঠ।
৭নং ওয়ার্ডে- তারাবনিয়ার ছড়া কবর স্থান মাঠ ও পূর্ব পাহাড়তলী।
৮নং ওয়ার্ডে- বৈদ্যঘোনা বিবি হাজেরা জামে মসজিদ প্রাঙ্গন ও দক্ষিণ টেকপাড়া।
৯নং ওয়ার্ডে- ঘোনার পাড়া জামে মসজিদ মাঠ, মোহাজের পাড়া মাঠ ও খাজা মঞ্জিল জামে মসজিদ মাঠ।
১০ নং ওয়ার্ডে- স্টেডিয়াম পাড়া, হাসপাতাল সড়ক, মধ্যম বাহারছড়া ও দক্ষিণ বাহারছড়া।
১১নং ওয়ার্ডে- বাহারছড়া মসজিদ, বাহারছড়া গোল চত্বর, কাউন্সিলর কোহিনুর ইসলামের বাড়ির সামনে ও হাফেজ সাহেবের বাড়ি।
১২ নং ওয়ার্ডে- কলাতলী প্রাইমারী স্কুল মাঠ, কলাতলী মঞ্জুরের বাড়ি ও মফিজ মাস্টারের বাড়িতে গরু জবাই করা হবে। কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে আন্তরিক প্রচেষ্টাই থাকবে পৌর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া ঠিক থাকলে একদিনেই জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।