সাগরে দস্যুতা বন্ধ না হলে মৎস্যজীবী পেশা ছেড়ে দিয়ে নৌপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলেরা। সেই সঙ্গে জলদস্যুতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে কক্সবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ফিশিংবোটে ডাকাতি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘ এক মাস পর সাগরে মাছ শিকারে গেলে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ফিশিংবোটগুলো। মাঝি-মাল্লাদের মারধর ও অপহরণ করে দস্যুরা কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
তাদের ভাষ্যমতে, প্রশাসনের কঠোরনীতির কারণে সুন্দরবনের খ্যাতনামা ডাকাতরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে।
কিন্তু বঙ্গোপসাগরে দস্যুতারোধে প্রশাসনের দুর্বলতা রয়েছে। এ কারণে সাগরে প্রতিনিয়ত মাছধরার ট্রলারে ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জলদস্যুদের ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে নৌপথে অবরোধ, মাছ বিক্রি বন্ধসহ কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার ফিশারিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ আজাদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর।
তিনি বলেন, জেলেদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। এ বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ সময় তিনি যারা জলদস্যুদের ‘দালালি’ করে তাদের খোঁজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার ফিশারিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির ওসমান গণি টুলু, ফিশারিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন মনির, মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা জয়নাল আবেদীন, শফিউল আলম (বাশি সওদাগর), রিদুয়ান আলী ও হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।