পৃথক অভিযানে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদ হোছাইনের স্ত্রী ফটো বেগম (৩০) ও আব্দুর রহিমের ছেলে কামাল হোছাইনকে (২১) গ্রেফতার করে পুলিশ।
চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা গ্রামের নিখোঁজ মোক্তার আহমদের স্ত্রী তছলিমা বেগম বাদী হয়ে ১ জুন আদালতে সাত মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এদিকে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম থেকে হুসনে আরা বেগম রেশমী (৪৫) নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে মহেশখালী থানার পুলিশ। গ্রেফতার হোসনে আরা বেগম রেশমি মহেশখালীর কুতুবজুম ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রী।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেশমি ম্যাডামকে আটক করা হয়। রেশমির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া উখিয়া থানা পুলিশ জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়া এলাকায় শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী আবদুল জলিলকে (৩০) গ্রেফতার করে। তিনি ওই এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গ্রেফতার আবদুল জলিলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, রামু থানা পুলিশ সকালে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত ফজল আহম্মদের ছেলে মানবপাচারকারী মোহাম্মদ মোস্তফা (২৭) ও মোহাম্মদ ইছহাকের ছেলে মোহাম্মদ আলমকে (৩০) গ্রেফতার করে।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান আবুল হোসেন জানান, রামুতে গ্রেফতার দুই মানবপাচারকারী মিয়ানমারের নাগরিক। তারা উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।