ফারাজ হোসেনের মতো জীবন বাজি রেখে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সকল অন্যায়, অবিচার ও অশুভ কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার শপথ নিলেন কয়েকশত মানুষ। শুক্রবার ৪ নভেম্বর প্রথম আলোর ১৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন এ শপথ বাক্য পাঠ করান। কক্সবাজার বন্ধুসভা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
বিকেল চারটায় কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন। এরপর আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রক্ত দান কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস রানা, কবি শামীম আকতার, ঝিনুকমালা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা, প্রথম আলোর চকরিয়া প্রতিনিধি এস এম হানিফ, এসএ টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি আহসান সুমন, ডিজিটাল হসপিটালের চেয়ারম্যান ওসমান গণি, কক্সবাজার বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, বর্তমান সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, দৈনিক আজকের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, বন্ধুসভার সদস্য তানবিরুল মিরাজ রিপন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ও সদস্য সাবরিনা সুবর্ণা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, ‘প্রথম আলো এখন শুধুই সংবাদপত্র নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। সমাজের ভালো কাজগুলো করছে। একটি পূর্ণাঙ্গ পত্রিকা মানেই প্রথম আলো।’
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ১৮ মানেই তারুণ্য। প্রথম আলো তারুণ্যের শক্তি নিয়ে সামনে এগোবে। সারাদেশের তরুণ সমাজই পত্রিকাটির মূল ভিত্তি।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, ‘প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার নামই প্রথম আলো। সকল শ্রেণির মানুষের ঘরের পত্রিকা, সকালের পত্রিকা প্রথম আলো।’
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুস রানা বলেন, ‘যেসব ছবি লুকিয়ে তুলতে হয়, তা আমরা ছাপি না। আমরা এমন প্রতিবেদন করি না, যা নিয়ে পরিবারে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রথম আলো ভালো ভালো সব কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমরা কালোকে কালো বলি, সাদাকে সাদা। যা যেমন, তেমনই আমরা প্রকাশ করি।’
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় বন্ধুসভার সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে রক্তাদান কর্মসুচী শুরু হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।