কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে চোরের কবল থেকে গাছের পাকা সুপারী রক্ষা করতে “ব্লেড থেরাপি” দিচ্ছেন গৃহস্হরা। বসতভিটা ও বাগানের সুপারী গাছ থেকে অব্যাহত সুপারী চুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত ধারালো ব্লেডের সাহায্য নিয়ে গৃহস্থরা চুরি ঠেকাতে সক্ষম হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভূক্তভোগীরা জানান, চলতি বছরের জুলাই-আগষ্ট মাস থেকে গাছে সুপারী পাকতে শুরু করার পরপরই চোরের উপদ্রব দেখা দেয়। প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন এলাকায় চোরের দল হানা দিয়ে সুপারী চুরি করতে থাকে। রাতে বাগান পাহারা দিয়েও চুরি ঠেকানো যায়নি। সুযোগ বুঝে অনেক সময় সন্ধ্যারাত অথবা ভোররাতে সুপারি পেড়ে নিয়ে যায় চোরেরা। এভাবে চুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্লেড পদ্ধতির আশ্রয় নেন গৃহস্হরা। সুপারী গাছের গায়ে বিভিন্ন স্হানে দা দিয়ে গর্ত করে ধারালো ব্লেড বসিয়ে দেন তারা। একটি ব্লেডকে লম্বালম্বি দুইভাগ করে ব্যবহার করা যায়। একটি গাছের উপর থেকে নীচে সুবিধাজনক পজিশনে ৩/৪ টি ব্লেড লাগানো হয় বলে জানান বাগান মালিক আবরার। এরপর সুপারী চুরি করার জন্য রাতের অাধারে চোরেরা গাছ বেয়ে উঠার সময় ধারালো ব্লেডে হাত-পা ও বুক-পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে একাকার হয়ে যায়। ধারালো ব্লেডের আঘাতে এভাবে জখমপ্রাপ্ত হওয়ার পর চোরেরা সংশ্লিষ্ট বাগানের দিকে আর যায়না। অপরদিকে একবার হাত-পা কেটে গেলে ক্ষত না শুকালে কমপক্ষে এক সপ্তাহ চুরি করার জন্য গাছে উঠা যায়না। আবার চিকিৎসা নিতেও সমস্যা, হাত-পায়ে ব্লেডের দাগ দেখলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা। গৃহস্হরা জানান, সবমিলিয়ে খুব ভাল ফল দিচ্ছে এই ব্লেড সিষ্টেম। একপন (৮০ টি) সুপারীর দাম বর্তমানে ১৫০-২০০ টাকা। প্রতিগাছে কমপক্ষে ৪/৫ পন সুপারী থাকে, যার বাজারমূল্য হাজার টাকারও উপরে। হাজার টাকার সুপারী রক্ষায় তিন টাকা মূল্যের কয়েকটি ব্লেড যথেষ্ট, আর রাত জেগে বাগান পাহারা দেয়ার ঝামেলাও নোই। তাই গাছের পাকা সুপারী রক্ষায় এখন ব্লেড সিষ্টেম জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গৃহস্তদের কাছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।