এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন,কক্সবাজারঃ কক্সবাজার শহরে প্রায় ১০ একর সরকারী জমি দখল করে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রির ঘটনা উদঘাটন করেছে প্রশাসন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপে দুদক,জেলা প্রশাসন,পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ অভিযানে সরকারী জমি দখল ও পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু যন্ত্র। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারী) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হোসেন আহম্মদ, শাহ আলম ও মো: ইসলাম।
দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে পরিবেশবিধ্বংসী এ তৎপরতা প্রতিহত করার কঠোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে অভিযান শুরু করে বিকালে শেষ হয়। অভিযানের নেতৃত্বদেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কাযয়ালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্যারের নির্দেশ পরিচালিত যৌথ এ অভিযানে কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি প্রায় ১০ একর সরকারী জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটার মতো পরিবেশবিধ্বংসী কাজের প্রধান কারণ দুর্নীতি। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে। দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।