ভারতের ইন্দিরাগান্ধি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.এস.পি বানসাল বলেছেন, কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে এতদঞ্চলে পর্যটন বিস্তার সম্ভব। কক্সবাজারকে বলা হয় পর্যটন শহর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত। এখানেই ব্যবসা করে মানুষ উন্নতি করছে। সততা ও দায়বদ্ধতা এই পেশার মানুষগুলোকে অনেক ওপরে নিয়ে যাবে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘কক্সবাজারের পর্যটনে অত্মসামাজিক প্রভাব’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখলেই বোঝা যায়, প্রকৃতি তার উদারহস্তে ঢেলে সাজিয়েছে এই অঞ্চলকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বে সৌন্দর্যের মুকুট ধারণ করে আছে কক্সবাজার। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর পর কক্সবাজার অনেকটা বদলে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড.সৈয়দ রাশেদুল হাসান বলেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্য বর্ধণে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় (সিবিআইউ) পর্যটনখাতে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় হলরুমে ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড.আবুল কাশেম সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষক জাকির হোসেনের প্রানবন্ত পরিচালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর আফজাল হোসেন, প্রফেসর ড.সাকির আহমেদ ও সহকারী প্রফেসর ড.মো. বদরুজ্জামান ভূইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ প্রধান শাকিল আহমদ। সেমিনারে থাইল্যান্ডের নারিসো ইউনিভার্সিটির ড.ভিসাইয়া, ভারতের লেখক এস.পি গুপ্তা, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার নাজিম উদ্দিন সিদ্দীকিসহ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।