২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে : জড়িত ৪৩ জন

rohing-1415523047
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম, তুমব্র“ ও বালুখালী, পালংখালী সীমান্তের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের নতুন টালের রোহিঙ্গা বস্তির ৪৩ জনের একটি সিন্ডিকেট মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের উস্কে দিয়েও বিভিন্ন প্রলোভনে অনুপ্রবেশ ঘটানোর নেপথ্যে জড়িত থাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামানো যাচ্ছে না বলে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিশ্বস্থ একটি সূত্রে জানা গেছে। মূলত এ ৪টি সীমান্ত পয়েন্ট কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের কাঁছাকাছি হওয়ায় এখানে অনায়সে প্রতিনিয়ত মিয়ানমারের মুসলিম নাগরিক রোহিঙ্গারা ছুটে আসে। এ ছাড়াও সম্প্রতি ইন্টারন্যাশ অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) নামের একটি এনজি সংস্থার বিশেষ ও লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা প্রতিদিন দলে দলে দেশে প্রবেশ করছে। রোহিঙ্গা বস্তির প্রায় ১০ সহস্রাধিক পরিবারকে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়ার আওতায় নিয়ে আসার চক্রান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় বসবাসরত রোহিঙ্গা ছাড়াও মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে নতুন করে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের আইসি শহিদুল হক জানান, ক্যাম্পটি অরক্ষিত থাকায় এখানে নিয়মিত কারা আসে সে হিসাব পুলিশের নেই। তবে আইন শৃংখলা রক্ষা ও অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে ক্যাম্প পুলিশ অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতায় তৎপরতা জোরদার করছে। রোহিঙ্গা বস্তির নতুন টালের ক্যাম্প সেক্রেটারী মাষ্টার রাকিবুল¬াহ বলেন, ওরা ৪৩ জন রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গি ও স্থানীয় গুটিকয়েক প্রভাবশালীর ইন্দনে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের নেপথ্যে কাজ করছে। বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর আর্থিক পৃষ্টপোষকতার সুযোগে শরণার্থীর মর্যাদা লাভের আশায় রাতের আধারে রোহিঙ্গা শিবিরে দলে দলে নারী পুরুষ ও শিশু দেশে প্রবেশ করছে। যার ফলে সীমান্তে নিয়োজিত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে থাকে। সাধারণ শরণার্থীদের অভিযোগ, যেখানে নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা বিভিন্ন দেশে রি-সেটেলম্যান্ট, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও দেশে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সেটেলম্যান্ট নামের ৩টি পলিসি গ্রহণ করে ইউএনএইচসিআর। এরই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করণের পায়ঁতারার অংশ হিসেবে ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নেওয়ার জন্য ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ইন্টারন্যাশ অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) নামের ওই এনজিওটি আবারো রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা সহ রেশন সামগ্রী প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা ফাঁস হয়ে পড়লে মিয়ানমার থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে নিবন্ধিত হওয়ার পায়ঁতারা করছে।
কুতুপালং শরণার্থী শিবির ইনচার্জ এসএম সরওয়ার আলম বলেন, তালিকাভূক্ত শরণার্থীর বাইরে শিবিরে অতিরিক্ত কোন রোহিঙ্গা নেই। তবে অনুপ্রবেশের নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থা তা যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।