বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে দেশের অবস্থা। এদিকে করোনা ভাইরাসের মধ্যেই চলে এসেছে ঈদুল আযহা। এবং সমস্থ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করতেও বলা হয়েছে সরকার বিভাগ থেকে।
অন্যান্য বছর কোরবানির ঈদে বিভিন্ন সেবা সংস্থা থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গরু জবাই দেওয়া বা গরুর মাংস বিতরণ করা হলেও এবারের ঈদে এনজিও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে এ পর্যায়ে। নিষিদ্ধ হলেও এবারের ঈদে গরু ও টাকা বিলিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বেসরকারী বেশকিছু এনজিওর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গা শিবিরে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত এনজিও আল মারকাজুলসহ তুর্কিভিত্তিক বহুসংখ্যাক এনজিও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গরুর মাংসের প্যাকেটসহ টাকা বিলিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঈদের পরের দিন রবিবার কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকা থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এক অভিযান চালিয়ে ৩০০টি গরু উদ্ধার করেছে। এসব গরুর মধ্যে ২০০ জবাই করা গরু এবং অপর ১০০ গরু রয়েছে জীবিত। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাজাহান আলী কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, কিছু এনজিও জেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গোপনে রোহিঙ্গা শিবিরসহ নানা স্থানে গরু বিলি করছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরো জানান, গোপনে গরু বিলি বন্টন কাজে সবচেয়ে বেশি জড়িত রয়েছে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত বলে যেসব এনজিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেইসব।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকায় তাঁর নেতৃত্বে গিয়ে রবিবার দুপুরে এক অভিযান চালিয়ে জবাই করা গরুর মাংসসহ ৩০০ গরু উদ্ধার করেন। এসব স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে জিম্মা দিয়ে যথারীতি দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়।
তুরস্কভিত্তিক ‘দিয়েনাথ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও জেলা প্রশাসনের অগোচরে এসব গোপনে বন্টন করছিল।
অপরদিকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের তেচ্ছিপুল নামক এলাকার একটি মসজিদের এলাকায় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সম্পৃক্ত এনজিও আল-মারকাজুল শতাধিক গরু কিনে সেখানেই গোপনে জবাই করে। পরে গাড়িতে করে রোহিঙ্গা শিবিরে বিলি করা হয়। রোহিঙ্গা শিবিরে এরকম আরো অনেক জঙ্গি সম্পৃক্ত নিষিদ্ধ এনজিও গোপনে এসব কাজে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, বালুখালী রোহিঙ্গা শিবির ও কুতুপালং শিবির এলাকায় এরকমের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান চালাতে গেলেই সবাই লুকিয়ে পড়ে। এসব বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর গোচরিভ’ত হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র: কালেরকন্ঠ
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।