ইমাম খাইরঃ সম্ভাব্য করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলায় পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও শয্যাবিশিষ্ট ২২৭ টি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তন্মধ্যে রয়েছে -রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (নতুন ভবন) ৫০ শয্যা, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (নতুন ভবন) ৫০ শয্যা, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ শয্যা, মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যা ও টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যা। কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাথরুম ব্যবস্থাসহ ২২৭ আইসোলেশন ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা সামগ্রী মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থার ৮ টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সমন্বয়ে ৬৬ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট, বেড, ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ও জরুরী বিভাগের প্রধান ডা: মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, হাসপাতাল সংলগ্ন পুরাতন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের চতুর্থ তলায় আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।
৩ শিফটে আইসোলেশন ইউনিটের প্রতি শিফটে ১ ডাক্তার, ৪ নার্স, ১ জন করে ক্লিনার, নিরাপত্তাকর্মী ও ওয়ার্ডবয় রয়েছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট ৫১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ২৩ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলার ২৯ টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য ১০৬ টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কর্মরত আছেন ১০৭ ডাক্তার ও ৮০ জন নার্স।
কেভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির জরুরী চিকিৎসা, স্থানান্তরের জন্য ১১টি পৃথক এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।