রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক এনজিও কর্মকর্তাসহ দুই জনকে দু’শ ইয়াবা ট্যবলেট নিয়ে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ১০ মে ভোর রাত ৩ টা থেকে টানা ৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো মো: ইকবাল হোসেন (৩৪) সে মহেশখালীর কুতুবজুম এলাকার মৃত মো: নুরের ছেলে। সে এনজিও সংস্থা কোডেক এর শিক্ষা প্রকল্পের কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিখন স্কুলের লার্নিং ফেসিলেটর আর অপরজন হলো স্থানীয় নতুন তিতারপাড়া গ্রামের মৃত নুর আহমদের পুত্র আলী আকবর।
পুলিশ জানান, আটক দু’জনকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে আলী আকবরকে ২০ ইয়াবা টেবলেট নিয়ে তিতার পাড়াস্থ গিরিঙ্গি মার্কেট এলাকা থেকে আর ইকবাল হোসেনকে ১৮০টি ইয়াবা টেবলেটসহ ফাক্রিকাটা মাষ্টার জয়নাল আবেদীনের ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তারা অন্যান্য ব্যবসায়ীদের নাম পুলিশের নিকট জানিয়েছে।
তবে স্থানিয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের সরাসরি মিয়ানমার এলাকায় অন্তত: ৩টি ইয়াবা টেবলেট কারখানা রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন উৎপন্ন হয় ইয়াবা টেবলেট। এসব টেবলেট নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি, চাকঢালা, আশারতলী, রেজু বড়ইতলী, নিকুছড়িসহ ১২টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আর এসব টেবলেট নাইক্ষ্যংছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী ককসবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও ঈদগড় হয়ে ঈদগাও এর পর আরকান সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম বা ঢাকা।
এদিকে আটক অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী রামু থানার গর্জনিয়া ফাড়ি পুলিশের এসআই মোস্তফা কামাল জানান, উপরের নিদের্শে তিনি ইয়াবা টেবলেট ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এদিন এখানে এ ধরনের অভিযান না থাকলেও বর্তমানে তিনি ইয়াবার সব কিছু তছনছ করে ছাড়বেন। অভিযান আরো জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে বেতনের টাকায় র্সোস বৃদ্ধি করে হলেও ইয়াবা টেবলেট ব্যবসায়ীদের শেকড়ের মূল উৎপাটন করবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।