ওসমান আল-হুমাম:
সারা দেশে করোনাভাইরাসে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ, অভাব-অনটন। এর থেকে হ্নীলাবাসীকে রক্ষা করতে সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনার দুর্যোগের শুরু থেকে মানুষের জন্য কাজ করছেন।
২৮ জুন বিকেলে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়নের করোনায় আক্রান্তদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে নিজ বাগানের মৌসুমী ফল পৌঁছে দেন। উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সফল এমপি অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মেঝ ছেলে ২নং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের কনিষ্ঠ চেয়াম্যান রাশেদ মুহাম্মদ আলী।
মোবাইল ফোনকল পেলেই গ্রামগঞ্জে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, দূর্ঘম মাঠ-ঘাট পেরিয়ে অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ নিয়ে ছুটে যান চেয়ারম্যান রাশেদ মুহাম্মদ আলী।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চেয়ারম্যান রাশেদ মুহাম্মদ আলী তার নিজস্ব গাড়িতে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।
তিনি বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে তাদের বাড়ি খোঁজ করে মৌসুমী ফলমূল পৌঁছে দিয়ে নিজ এলাকার জনগণকে মহামারি থেকে সুরক্ষার জন্য উদ্যোগ নিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
এরপরেও তার একটি মাত্র চাওয়া মানুষ নিরাপদে থাকুক।
দিনের বেলায় যতক্ষণ অফিসে থাকেন, ওই সময় কখনও করোনাসংক্রান্ত সচেতনতামূলক মিটিং, কখনও অফিসে আগত অসহায় মানুষকে ত্রাণ বিতরণ, আবার কখনও ফোন কলে ছুটে যান অসহায় মানুষের দ্বারে-দ্বারে।
চেয়ারম্যান সাহেব ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে হ্নীলাবাসীকে বলেন, ‘আপনার সম্মানের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান করোনাভাইরাস প্রতিরোধ পরিস্থিতিতে আপনি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, আপনার বাসায় খাবার সংকট থাকলে এবং সবার সামনে আপনি খাদ্য সহায়তা নিতে বিব্রতবোধ করলে অনুগ্রহ করে আমার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন। পরিচয় গোপন রেখে সহায়তা আপনার বাসায় পৌঁছে দেব।
তিনি বলেন “দেশের এই ক্রান্তিকালে সকলেরই উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা। হয়তো এই দুর্যোগ একদিন কেটে যাবে, কিন্তু ততদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে কেউ যেন কষ্টে না থাকে তা মাঠপর্যায়ে নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের।”
আওয়ামী লীগ এর একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।