৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  নাফনদে দুই সহোদর শিশুর মৃত্যু    ●  ধান চাষ করে নৌকায় চড়া উখিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা   ●  পরিবহন সমিতির নামে বদি শ্যালকের কোটি টাকা লুটপাট   ●  ‘আমি কোন গাড়িতে উঠেছিলাম সেটা আমি নিজেও জানতাম না’ -সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  চকরিয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে শিশুর মৃত্যু   ●  ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা’   ●  “পালংখালী ইউনিয়ন  জামায়াতের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত    ●  পেকুয়ায় সড়কে  শৃঙ্খলা ফেরাতে যৌথ অভিযান   ●  সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর মানববন্ধন ও স্মারক লিপি    ●  উখিয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কর্মজীবনের অবসরে বরেণ্য শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া

বিশেষ প্রতিবেদক:

শিক্ষকদের বলা হয় ‘মানুষ গড়ার কারিগর’। তাঁরাই জাতির মেরুদন্ড। তাঁদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় হাজার হাজার পড়ুয়া। পিতা-মাতার পর শিক্ষকই একমাত্র ব্যক্তি যাকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, জীবনের প্রতিটি মোড়ে শিক্ষকরা আমাদের চলার পথ সহজ করে দেন। আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে যে বন্ধন, তা কোনো মূল্যেই বিচার করা যায় না।

মিলন কুমার বড়ুয়া। কক্সবাজারের উখিয়ায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১৯৭৮ সালে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮১ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী অর্জনের পূর্বে ১-৯-১৯৮৩ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

তাঁর হাত ধরেই আজ কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, আবার কেউ তাঁর আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেই শিক্ষকতা পেশায় এসেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের মধ্যে একটি অনন্য সম্পর্ক সবসময় বিরাজমান থাকে।

তবে, প্রতিটি বিদ্যালয়ে এমন কিছু শিক্ষক থাকেন যাঁরা শুধু শিক্ষার্থী নয়, পাশাপাশি প্রত্যেকের খুব প্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁদের কর্মদক্ষতা এবং নিজস্বতায়। কিন্তু, সেই শিক্ষকই যখন বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেন স্বাভাবিকভাবেই তা মন খারাপের কারণ হয় সকলের।

উল্লেখ্য, তিনি বিগত ৩৯ বছর যাবৎ পূর্ণ নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিদ্যালয়কে আসীন করেছেন উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের মর্যাদায়।

আজ সেই গুনীজন কর্মস্থল থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। এতে প্রাক্তন ছাত্র ও বিভিন্ন সূধীসমাজ তাঁকে বেদনাবিধুর বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।