প্রথমার্ধে দৃষ্টিকটু ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা বিরতির পর ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিল। তবে তাদের বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের মাঝে দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। শেষ দিকে আদায় করে নেয় আরও একটি। তাতে হার দিয়ে কোপা আমেরিকায় যাত্রা শুরু হলো লিওনেল স্কালোনির দলের।
সালভাদরে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে হওয়া ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের ২-০ গোলে হারায় কলম্বিয়া।
শুরু থেকে দুই দলের খেলা ছিল ছন্দহীন, আক্রমণগুলো ধারহীন। আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডাররা পারেননি আক্রমণভাগের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতে। বল পেতে অনেক নিচে নেমে খেলতে হয়েছে লিওনেল মেসিকে। পাস দেওয়ার পর সতীর্থের কাছ থেকে অধিনায়ক বল ফিরে পেয়েছেন কমই।
এলোমেলো ফুটবলের মাঝে সপ্তম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন সের্হিও আগুয়েরো। তাকে উদ্দেশ করে মেসির বাড়ানো বল ঠেকাতে ডি-বক্সের বাইরে ছুটে গিয়ে শট নিয়ে ব্যর্থ হন কলম্বিয়া গোলরক্ষক দাভিদ আসপিনা। আলগা বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আগুয়েরো।
প্রথমার্ধে বল নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা, আক্রমণে কলম্বিয়া। ষোড়শ মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় তারা। ডি-বক্স থেকে রজের মার্তিনেসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে চলে গেলে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
প্রতিপক্ষের ভুলে ২৭তম মিনিটে ভালো সুযোগ আসে কলম্বিয়ার সামনে। বল ক্লিয়ার না করে গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি ফিরিয়ে দেন নিকোলাস ওতামেন্দির কাছে। তিনি তালগোল পাকিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। তবে শেষ মুহূর্তে ছুটে এসে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন গিদো রদ্রিগেস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারতো আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৫তম মিনিটে বল পায়ে এক জনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি, কিন্তু শট নিতে দেরি করে ফেলেন।
চার মিনিট পর কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডান দিকে পেয়ে পারেদেসের নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন অসপিনা। দুদল মিলিয়ে ম্যাচে এটাই ছিল প্রথম লক্ষ্যে শট। ৬৬তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ হারায় আর্জেন্টিনা। ওতামেন্দির হেড গোলরক্ষক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর আলগা বল ছোট ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন বার্সেলোনা তারকা।
বিরতির পর কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়া কলম্বিয়া ৭১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে নেয়। মাঝমাঠ থেকে হামেস রদ্রিগেসের লম্বা ক্রস বাঁ দিকে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন ফরোয়ার্ড মার্তিনেস।
৮৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাপাতা। বাঁ দিক থেকে মিডফিল্ডার জেফারসন লের্মার বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় প্লেসিং শটে ঠিকানায় পাঠান আতালান্তার ফরোয়ার্ড। বাকি সময়ে এই ব্যবধান ধরে রেখে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলম্বিয়া।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।