মঙ্গলবার রায়ের খসড়া লেখা শেষ হওয়ার পর তা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের খসড়া প্রণয়নকারী বিচারপতি নিজেই সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সুপ্রিমকোর্ট থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নিয়ে যান বলে জানা গেছে।
এরপর চূড়ান্ত রায়ের কপিতে ক্রমান্বয়ে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা এবং সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সই করবেন।
বিচারপতিদের সই শেষে রায়ের কপি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় হয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে সোমবার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
রায়ের পর কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে তার পরিবারকে চিঠি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, দুই ছেলে হাসান ইকবাল ও হাসান ইমাম, মেয়ে আতিয়া নূর, ভাগ্নি রুখসানা জেবিনসহ পরিবারের ১২ সদস্য।
এতে সোমবার রাতেই জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে রায়ের কপিতে বিচারপতিরা সই না করায় তা কারাগারে পৌঁছায়নি। ফলে পিছিয়ে যায় ফাঁসি কার্যকর।
এদিকে, আজ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রায় কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করা হবে।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।