এবার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নামছে র্যাব। এ জন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় থাকা কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতদের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বিশেষ করে যেসব কিশোর গ্যাং ইতিমধ্যে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তাদেরকে দ্রুত আইনে আওতায় আনা হবে।
বুধবার র্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার নবনিযুক্ত পরিচালক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বরগুনার কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন বণ্ড থেকে শুরু করে টঙ্গিতে নবম শ্রেণীর ছাত্র শুভ হত্যার মতো ঘটনা আর একটিও ঘটতে দেয়া যায় না।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ইতিমধ্যে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দিয়েছেন। র্যাবের ওয়েবসাইট ও রিপোর্ট-টু র্যাব নামক অ্যাপসের মাধ্যমেও কিশোর গ্যাং সংক্রান্ত তথ্য র্যাবকে জানানো যাবে।
কিশোর গ্যাং যখন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তখনই সেখানে অস্ত্র চলে আসে। এর সঙ্গে হত্যা এবং ধর্ষণের মতো বিবেকহীন কাজও ঘটে। জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের সবকিছুই জড়িয়ে যায়। এজন্য অভিভাবকদের সক্রিয় এবং সচেতন হয়ে সন্তানদের খোঁজ খবর রাখার আহ্বান জানিয়েছে র্যাব।
এখন পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের প্রায় ৩৫ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদেরকে দেশের আইন অনুযায়ী সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
‘আমাদের নজরদারিতে আরও অনেকেই আছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আপনারা গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে র্যাবের দৃশ্যমান অভিযান দেখতে পাবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।