শফিক আজাদ,(চীপ রিপোর্টার): মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন অজুহাত তুলে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা চালাচ্ছে। এই গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা সামিল। মিয়ানমার বাহিনীর নানান নির্যাতনের শিকার হয়ে আজ লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার মা হিসেবে বিশে^র দরবারে প্রসংশিত হয়েছেন। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরকারের পক্ষ থেকে সবকুটু সহযোগিতা করা হবে বলে আশ^স্থ করেন ১৪দলের মূখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাছিম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাদে কোন প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় এব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের ভীড়ে এত রোহিঙ্গা রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে । অবশ্যই এসব রোহিঙ্গাদের স্ব-সম্মানে মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে। শনিবার দুপুরে ১টা ১৫মিনিটে কক্সবাজার থেকে গাড়ী যোগে উখিয়ার কুতুপালংয়ে পৌছে ত্রাণ বিতরণকালে ১৪দলের মূখপাত্র উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে ১৪দলের প্রতিনিধিদল কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শিশুদের রোগব্যধি থেকে মুক্তিপেতে প্রতিষেধক ঠিকা হিসেবে ১লাখ ২০ হাজার হাম রুবেলা টিকা, ৪০হাজার পোলিও টিকা, ৩৮হাজার ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মিয়ানমার সেনা বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের চিত্র দেশি-বিদেশী গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হওয়ার মিয়ানমার সরকার আজ সমালোচনার মূখে পড়েছে। তিনি এ জন্যের গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তথ্য মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাকে পুজি করে একটি মহল দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই দেশবাসিকে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে কক্সবাজারবাসিকে দলমত নির্বিশেষে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আহবান জানান তিনি।
১৪ দলের নেতা বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী, বাংলাদেশ ওয়ার্কাসপার্টির সভাপতি রাশেদ খাঁন মেনন বলেন, গত ২৪ আগষ্ট থেকে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আমাদের বর্ডার গাড (বিবিজি’র) সদস্যরা অত্যান্ত সাহসিকার পরিচয় দিয়ে রাত-দিন পাহারা দিয়ে আসছে। এই জন্যে সরকারের পক্ষ বিজিবি সহ সকল সীমান্তে নিয়োজিত আইশৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি এসময় মিয়ানমার সরকারকে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কশিনের দেওয়া প্রতিবেদন বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান। পৌনে ৩টায় প্রতিনিধিদল কুতুপালং শরনার্থী শিবিরের আশে-পাশে ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রতিনিধিদলের সাথে ছিলেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়–য়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার-২আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম, জেলা জাসদের সভাপতি এড. আবুল কালাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রমূখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।