কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পুকুর পাড় থেকে উদ্ধারকৃত মৃত শিশুর লাশ আদালতের নির্দেশে ৪০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার আলী আকবর ডেইল কাজীর পাড়ায় উপজেলা নির্বাহি অফিসারের উপস্থিতিতে পুলিশ শিশুর লাশ উত্তোলন করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর দুপুর ২টার পর আলী আকবর ডেইল কাজীর পাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের শিশু পুত্র মো. ছোটন (৭) নিখোঁজ হলে সন্ধ্যায় তার সন্ধানে মাইকিং করা হয়। রাত ১১ টার দিকে স্থানীয় মসজিদের পুকুর পাড় ঘেঁষে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে জানান। এ সময় শিশুর পিতা তার সন্তানের মৃত্যু রহস্যজনক বলে দাবি করে পারিবারিক শত্রুতাবশত: বেশ কয়েকজনকে দায়ি করায় দেড় দিন শিশুটির লাশ হাসপাতালেই পড়ে থাকে।
এ নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন। পরে শিশুর পিতা আনোয়ার, স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি, নিকটাত্মীয়দের উপস্থিতিতে আপোষনামা দিয়ে শিশুর লাশ দাফন করেন। ৭ অক্টোবর পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরী করে রাখেন বিষয়টির।
পরে শিশুর মা মরিয়ম বাদী হয়ে তার শিশুকে হত্যার অভিযোগ এনে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দেন। বিষয়টি পরে আদালতে মামলায় এলে ময়না তদন্তের স্বার্থে লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। বুধবার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশের উপস্থিতিতে শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহজাহান বলেন, আদালতের নির্দেশে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বুধবার শিশুর লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ওই মামলায় বড়ঘোপ এলাকার দু‘জন আ‘লীগ নেতাকে আসামী করার প্রতিবাদে এবং মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে ইউনিয়ন আ‘লীগ সংবাদ সমম্মেলনও করেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।