কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে ৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪ জন। নিহতরা হলেন, কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিন ধুরুং ইউনিয়নের মোশারফ বলীর পাড়া এলাকার আবদুল মোনাফের ছেলে বাবুল (৩৫), সে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে নিহত হয়। অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মৎষ্য ঘেরের টং ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণ হারায় আবুল কাসেম (২৭) নামে এক যুবক। সে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী মাতবর পাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে বলে জানা গেছে। একই ভাবে লবন মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পেকুয়ার পালাকাটা এলাকায় বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় আশেক (১৪ নামে এক শিশুর। সে রাজাখালী ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। নিহতদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে কুতুবদিয়া বজ্রপাতে আহতরা হলেন, ধরুং ইউনিয়নর বৈদ্যর পাড়ার সাকের উল্লাহর ছেলে রমিজ (২৩), মৃত আব্দুল কাদেরে ছেলে আজম (২৬), আবু হানিফার ছেলে ফুরকান (২৮) ও কৈয়ারবিল গ্রামের মাহবুল খলিলের ছেলে মনির (২৮) আহত হন। আহতদের কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুর ২টার দিকে কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং মোশারফ বলীর পাড়ার আব্দুল মোনাফের পুত্র বাবুল (৩৫) সহ অন্যরা নৌকায় লবন ভর্তি করছিল। এ সময় আকষ্মিক বজ্রপাত ঘটলে বাবুল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুলকে মৃত ঘোষনা করেন।
পেকুয়ার বজ্রপাতের ঘটনার বিষয় নিয়ে পেকুয়া সদর ইউপি সদস্য গোলাম ছোবহান ও রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো.মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন, নিহতদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে সরকারি তরফ থেকে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।