মুসলমানের পরিচয় জানতে হলে দুটি বিষয়ে সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তন্মধ্যে একটি হলো কুফর আর অন্যটি হলো ইসলাম।
কুফর হলো- আল্লাহ তাআলার হুকুম পালন করতে অস্বীকার করাই হলো কুফর। ইসলাম হলো- শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার হুকুম মেনে চলা এবং আল্লাহর ওয়াদা পবিত্র কুরআনের বিপরীতে যে নিয়ম, আইন এবং আদেশই হোক না কেন তা থেকে বিরত থাকাই হলো ইসলাম।
ইসলাম এবং কুফরের পার্থক্য নিরূপনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইয়াহুদিদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ আসমানি গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্য গ্রহণ করো না; যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের (অবিশ্বাসী)। (সুরা মায়েদা : আয়াত ৪৪)
আলোচ্য আয়াতে শুধুমাত্র নামাজ-রোজা-ইবাদত-বন্দেগির ফয়সালা কুরআন-হাদিস দ্বারা করতে বলা হয়নি বরং প্রতিটি মানুষ তার জীবনের প্রত্যেকটি কাজের সময় যে ফয়সালা করে; সেই ফয়সালার কথা বলা হয়েছে এখানে। যারা নিজেদের জীবনকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত করে তারাই মুসলমান।
মুসলমানের পরিচয় তুলে ধরে আল্লাহ তাআলা বলেন-
(হে রাসুল! আপনি) বলুন, হে আলহে কিতাবের অনুসারীগণ! এসো এমন একটি কথার দিকে; যা আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একই ধরনের। আর তা হচ্ছে-
>> আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো বন্দেগি ও দাসত্ব করব না;
>> তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার স্থাপন করব না;
>> আর আমাদের কেউ আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে রব বা পালনকর্তা হিসেবে গ্রহণ করব না।
যদি তারা এ দাওয়াত গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হয়; তাহলে সুস্পষ্টভাবে বলে দাও- ‘তোমরা সাক্ষী থাকো, আমরা অবশ্যই মুসলিম (একমাত্র আল্লাহ তাআলার বন্দেগি ও আনুগত্যকারী)। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৬৪)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি কাজে তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে নিজেদের প্রকৃত মুসলমান হিসেবে তৈরির করার তাওফিক দান করুন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।