অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষমতা জানান দিতে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে নুরুল ইসলাম নুরু বাহিনী। বুধবার বিকেলের দিকে মাথায় হেলমেট ও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাহিনীর সদস্যরা শহরের পশ্চিম লারপাড়ার অলিগলিতে ফিল্মী স্টাইলে ঘুরে চলে যান। তাদের নিরব মহড়া দেখে অধিবাসীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়া এলাকার সদস্য আবুল হোসেন বলেন, বুধবার একটি সালিশ নিয়ে বিকেলে ব্যস্ত সময় গেছে। এসময়টাতে এমন একটি ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি সময় নুরু বাহিনী নিয়ে অপরাধকর্ম চালাত। আমি মেম্বার হিসেবে শপথ নেয়ার পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। কারাগার থেকে বের হবার পর টার্মিনাল এলাকায় তাকে আগের মতো দেখা যায় না। পশ্চিম লারপাড়া, উত্তরণ এলাকা, জেল গেইট, ইসলামাবাদসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকার টুকটাক অপরাধ করে বলে শুনেছি। কিছু বলতে গেলে কৃষকলীগের এক নেতার নাম ব্যবহার করতো সে। এখন যেহেতু অপকর্ম আবার বাড়িয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে তখন তাকে আবার আইনের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম লারপাড়ার নুর হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু (৩২)র নিয়ন্ত্রণে একটি সশস্ত্র বাহিনী পশ্চিম লারপাড়া, উত্তরণ এলাকা, জেল গেইট, ইসলামাবাদসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় প্রতিদিন ডাকাতি-ছিনতাই-অপহরণ ও দখল-বেখলের কোন না কোন ঘটনা ঘটানোর বিষয়ে বুধবার স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইনে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার পশ্চিম লারপাড়ার এক ভাড়া বাসায় মহিলাদের হামলার ঘটনায় অভিযোগের বিষয়টিও সংবাদে উল্লেখ করা হয়। পত্রিকায় সংবাদ দেখে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এমন সন্দেহে ভীতি সঞ্চার করতেই বুধবার বিকেলে বাহিনী নিয়ে ফিল্মী স্টাইলে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে নুরু।
তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ২০-২৫ জনের স্বশস্ত্র গ্রুপটি কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে একেকটি এলাকার অপরাধ কর্ম নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা টমটম, রিক্সা, সিএনজি যাত্রিদের ছিনতাই, পর্যটকদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়া, বাসাবাড়িতে ডাকাতি, ভাড়াটিয়া হিসেবে জমি দখল-বেদখল ও অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্ম করে। তাদের কাছে এলাকার প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে দিন কাটাচ্ছে।
এসব বিষয় আমলে নিয়ে নুরু বাহিনীর বিরুদ্ধে তড়িত ব্যবস্থা নিতে র্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, পত্রিকায় সংবাদ দেখে এলাকায় খোঁজ নেয়া হচ্ছে। কোন অপরাধী বাহিনীকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না। দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।