১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬


খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন দরকার : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষকও সমাজকে সচেতন করতে পারেন।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে ‘হোটেল রেস্তোরাঁ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও চর্চা বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি। বিভিন্ন ভাবে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া এটি সফল হওয়া অসম্ভব। সেকারণে নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি। সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মনির উদ্দিন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ও কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক টুটুল।
খাদ্য সচিব বলেন, পুষ্টিকর খাবার ছাড়া স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলা যাবে না। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনও অসম্ভব। তাই আমাদের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন ও গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।