গত ১১ মে শিলংয়ে সন্ধান মেলার পর এই প্রথম সালাহ উদ্দিন দলের প্রধানের সঙ্গে কথা বললেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, স্ত্রী হাসিনা আহমদের মোবাইল ফোন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে সালাহ উদ্দিন বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। পাঁচ-ছয় মিনিট স্থায়ী হয় তাদের আলাপচারিতা। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি বলেছেন, ‘তিনি সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে খুব সংক্ষেপে কথা বলেছেন। তাকে জানিয়েছেন যে তিনি (সালাহ উদ্দিন) খুব দূর্বল। কথা বলতে তার কষ্ট হচ্ছে।’
বুধবার বিকেলে শিলং সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিনকে ওই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড তাকে ওই হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করে।
ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. ভাস্কর বোরগোহাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বিকেলে থেকে মূত্র প্রদাহ, হৃদরোগ, কিডনি, প্রোস্টেট ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন সালাহ উদ্দিন। চিকিৎসকরা তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’
মেঘালয় পুলিশের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে যতো শিগগির সম্ভব আদালতে হাজির করাতে চায়। আর এ কারণেই সুচিকিৎসার জন্য তারা তাকে ওই বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে সিভিল হাসপাতালকে অনুরোধ করেন।
দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত ১১ মে ভারতের শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি কিভাবে শিলংয়ে গেলেন তা নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে যা এখনও উন্মোচিত হয়নি।
বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে লুকিয়ে থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় বলে তার পরিবার দাবি করে আসছে।
হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন স্ত্রীকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি। চোখ-হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।