নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের চাউল ব্যবসায়ী ছৈয়দ মোহাম্মদ কায়ছারকে ৭ অক্টোবর বিজিবি পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আটক করেন। এরপর একটি মামলা রুজু করে তাকে রামু থানায় সোপার্দ করা হয়।
যার জিআর মাললা নং ৬০৩/২১, ধারা ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০(গ)। ব্যবসায়ী কায়ছারকে কোটবাজার থেকে আটক করা হলেও মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে আটক দেখানো হয়। এবং তার কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়ার মিথ্যা গল্প সাজানো হয়। ঘটনার পরপরই কোটবাজারের ব্যবসায়ী মহল চাউল ব্যবসায়ীকে আটকের ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবী করে সাংবাদিক সন্মেলন করেন। তারা গণ স্বাক্ষরও সংগ্রহ করেন। এতে শত শত মানুষ তাকে আটকের ঘটনাটি মিথ্যা দাবী করে সাক্ষর দেন।
এই ঘটনা নিয়ে ওই ব্যবসায়ী ছৈয়দ মোহাম্মদ কায়ছারের পিতা ছৈয়দ আলম বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন।
তিনি বিজিবি মহাপরিচালক বরাবরেও ছেলেকে নির্দোষ দাবী করে এবিষয়ে তদন্তের জন্য গত ১৩ অক্টোবর একটি আবেদন করেন।
উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজিবির একটি গোয়েন্দা টিম গত একসপ্তাহ ধরে কোটবাজারের জনপ্রতিনিধি সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন।
তদন্ত টিমের কাছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ব্যবসায়ী ছৈয়দ মোহাম্মদ কায়ছারকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এলাকাবাসী ছৈয়দ মোহাম্মদ কায়ছারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানান।
চাউল ব্যবসায়ী ছৈয়দ মোহাম্মদ কায়ছারের পিতা অভিযোগকারী ছৈয়দ আলম জানান, তিনি বিজিবির মহাপরিচালক ছাড়াও এবিষয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা করেছেন। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, নির্বাহী কর্মকর্তা উখিয়া বরাবরে আবেদন করেছেন। প্রত্যেকটি আবেদনে তিনি তার নিরপরাধ ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।
ওই তদন্ত টিম উখিয়ার কোটবাজারের জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে গণহারে সাক্ষ্য নেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।