গরম পড়তে না পড়তেই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চলতি গরম মৌসুমে সদর উপজেলার গুরুত্ববহ এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁওতে সাম্প্রতিক সময়ে পল্লী বিদ্যূতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে দৈনিক লাখ লাখ টাকার ব্যবসা বাণিজ্য হলেও এখানকার ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে টেনশনে ভুগছেন দিনের পর দিন। এই লোড শেডিং সমস্যা থেকে কবে মুক্তি পাবে ব্যবসায়ী সহ নানা শ্রেণীর লোকজন। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এমনকি ঈদগাঁও বাজারে দৈনিক ৪/৫বার লোডশেডিং চলছে বলে জানান, ব্যবসায়ী নেতা ছৈয়দ করিম। এছাড়া এই মৌসুমেও লোডশেডিং শুরু হওয়ায় পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরাসহ আসন্ন এইচএসসি ও চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফটোকপি, প্রিন্ট, নানা ব্যবসা বানিজ্য, স-মিল সহ নানা কলকারখানা চালাতে ভোগান্তি চরমে পৌছেছে লোকজনদের মাঝে। এমনকি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারী জিনিসপত্র বিদ্যুতের কারণে নানা সমস্যায় সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ৬ ইউনিয়নে এই চলতি মৌসুমে বিদ্যুৎ লোডশেডিং সবেমাত্র শুরু হতে চলছে। তারপর ও মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে বিদ্যুৎ বিল নানা কারণে বেড়েছে বলেও একাধিক লোকজনের অভিযোগ। আবার, লক্ষ লক্ষ টাকার পুজি দিয়ে ঈদগাঁও’র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছে দারুনভাবে। অনতিবিলম্বে চলতি মৌসুমে ঘনঘন লোডশেডিং বন্ধ করার আহবান বিশাল এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ ঈদগাঁও অফিসের নির্ধারিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তারা লোডশেডিং নয়, লাইন সমস্যা বলে লাইন কেটে দেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।