বিশেষ প্রতিবেদক:
শহরতলীর কলাতলী উত্তরণ কাটা পাহাড় নামক স্থানের গহীন পাহাড়ে ছিনতাইকারী ধরতে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ি ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র সদস্যরা যৌথ অভিযান চালায়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা শুরু হওয়া দীর্ঘ অভিযানে শহরের চিহ্নিত তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সম্প্রতি ছিনতাইয়ের শিকার লোকজনের লুণ্ঠিত কোন মালামাল উদ্ধার হয়নি।
এই অভিযানে আটকৃতরা হলেন, কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি এলাকা দক্ষিন ডিকুল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে নুরুল হাসান (১৮), লাহারপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হ্নদয় সুলতান (২০) ও পেশকার পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল হামিদ প্রকাশ কালু ভাই (২৭)।
এর মধ্যে হ্নদয় সুলতানের বিরুদ্ধে তিনটি ও নুরুল হাসানের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেন কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন।
অভিযানে আরও নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।
তিন ছিনতাইকারীকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো: আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে শহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। গত এক মাসে ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ছিনতাইকারীরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। কলাতলীর একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে আমরা অস্ত্রসহ আটক করে জেল হাজতে পাঠাই। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দেখা যায় সে জামিনে বেরিয়ে আসে।
তিনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের পৃথক কয়েকটি স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় একজন আইনজীবী, দুইজন এনজিও কর্মীর কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মালামাল লুটে নেয়। এমনকি ছিনতাইকারী চক্র এডভোকেট রেজাউল করিম রেজার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার পরও তাঁকে ছুরিরকাঘাত করে। বর্তমানে তিনি তাঁর শহরের বাসভবনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। পৃথক ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রচার হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।