বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’র প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে আছে। এর আগে শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলোর মাধ্যমে দুইশতাধিক পর্যটককে সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে ১শ’ ২৭ জন পর্যটক টেকনাফে ফিরে এলেও আজ শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আরও শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ জানান, শুক্রবার ৩নং সংকেত চলাকালীন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল ও বাজারে পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে অবস্থান না করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। তারপরও শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে আছে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর জানান, আটকা পড়া পর্যটকদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার সকালে ২টি ও বিকালে আরও ১টি ট্রলারে মোট ১২৭ জন টেকনাফে ফিরে যায়। তারপরও শ’খানেক পর্যটক বিভিন্ন হোটেল মোটেলে অবস্থান করছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’র কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এ কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমুহকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থারত মাছ ধরার সকল নৌযানকে উপকুলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে সাগরে উত্তাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ অক্টোবর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে একই ভাবে জাহাজ চলাচল না করায় ৫ শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছিল। পরে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এই রুটে বর্তমানে কেয়ারী সিন্দবাদ, কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও বে ক্রুজ নামে ৩টি জাহাজ চলাচল করে থাকে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এসব জাহাজের চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।