চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে পরিবার সদস্যদের অগোচরে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ দেড়লাখ টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে রাজিয়া সুলতানা নামের এক গৃহবধু বাপের বাড়িতে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের শাপমারা ডেইল এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন মঙ্গলবার মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটিতে স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ছাড়াও তার বাবা আবদুর রহিম নাগু, মা জাহানারা বেগম, ভাই মাহফুজ, মোজাম্মেল হক এবং বোন ফাতেমা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। বিবাদি সকলের বাড়ি একই উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের সুতুরিয়া পাড়া গ্রামে।
থানায় অভিযোগ দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতিক বলেন, চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে স্বামী ইয়াছিন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি থানার ওসির নির্দেশে আমার কাছে তদন্তধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বাদিকে আসামি পক্ষের লোকজনের উপস্থিতি সনাক্ত করে আমাকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, তার বাড়ি মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের সাপমারা ডেইল এলাকায়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সামাজিকভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক একই ইউনিয়নের সুতুরিয়া পাড়া গ্রামের আবদুর রহিম নাগুর মেয়ে রাজিয়া সুলতানাকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী এলাকায় নতুন বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে বসবাস করছেন।
অভিযোগে ইয়াছিন দাবি করেন, গত ১৫ নভেম্বর সকালে তার মা ছকিনা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ডাক্তার দেখাতে গেলে এ সুযোগে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার সময় বাড়ির আলমিরা ভেঙ্গে নগদ দেড়লাখ টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং বন্ধকি জমির দলিল নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার কোন ধরণের হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। এমনকি তার ব্যাপারে শাশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উল্টো তাকে নানাভাবে হুমকি এবং মামলায় জড়িয়ে হয়রাণি করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থার কারনে ভুক্তভোগী ইয়াছিন ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন। #
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।