২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়ার কলেজছাত্র মোর্শেদ আলী হত্যার পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

ck13-mdr-640x351কক্সবাজারের চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মোর্শেদ আলী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর আলমকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার রাতে উপজেলার চিরিংগাস্থ জনতা মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাফর আলম চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট এলাকার মৃত মোজাহের আহমদ কোম্পানীর ছেলে। এই জাফর এলাকায় ভূমিদুস্য হিসেবেও পরিচিত।

পিবিআই কক্সবাজার অফিস সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জাফর আলমের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ছাড়াও ভূমিদস্যুতা ও মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে। জাফর আলম বিভিন্ন এলাকার সরকারি জমি দখলকারী দরিদ্র লোকজনকে তার বাহিনী দ্বারা ভয়ভীতি, নির্যাতন ও মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে উচ্ছেদ করে চকরিয়া, পেকুয়া ও বান্দরবানের লামা উপজেলায় শত শত একর সরকারি জায়গা দখলে রেখেছে। সেখানে একাধিক বাগান বাড়ি নির্মাণ এবং মৎস প্রজেক্ট তৈরী করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের চাঁন্দের বাপের পাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিবিএ পড়ুয়া ছাত্র মোর্শেদ আলী। তিনি বরইতলি ইউনিয়নের মাহমুদ নগর পাহাড়তলী এলাকায় দু’বছর আগে বনবিভাগের আনুমানিক দুই কানি পাহাড়ী জমি অবৈধভাবে ঘেরাও দিয়ে একটি দোচালা ঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারকৃত জাফর আলম উক্ত জমি কিনতে মোর্শেদকে চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকির মুখে মোর্শেদ আলী দেড়কানি জমি জাফর আলমকে দু’লাখ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হয়।

এদিকে জাফর কয়েক দফায় মোর্শেদকে ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা দেয়। পরবর্তীতে মোর্শেদ আলী বাজার মূল্যে উক্ত জমির দাম ছয় লাখ টাকার বেশি হবে দাবি করে জাফর আলমকে জমি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে জাফর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় জাফর আলমের নির্দেশে জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্তত ২৫ জন মিলে মোর্শেদ আলীকে মারধর করে। পরে দ্রুত উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোর্শেদ মারা যায়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কক্সবাজার জেলা টিমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ গ্রেপ্তারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোর্শেদ হত্যার ঘটনায় ৪ মার্চ সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা হয়। এই মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। গ্রেপ্তারকৃত জাফর আলমই এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তদন্তে উঠে এসেছে। ইতিপূর্বে এই মামলার অন্যতম আসামী জসিম উদ্দিনকেও পিবিআই গ্রেপ্তার করে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।