২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র সহায়তায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন মরিয়ম

চকরিয়ায় বিধবা মরিয়ম বেগমের দোকান উদ্বোধন শেষে তাঁর পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও ইউএনও সাহেদুল ইসলাম

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলমের বদ্যনতায় অবশেষে ভাগ্য খুলেছে স্বামী পরিত্যক্ত নারী মরিয়ম বেগমের (৫৬)। উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হতভাগ্য এ নারী ভিক্ষা করে এতদিন জীবন ধারণ করে আসলেও চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মরিয়মের বাড়িতে গিয়ে তাকে অনুদানের ২০ হাজার টাকা হাতে তুলে দেন। পরে সেখান থেকে প্রায় ১২ হাজার টাকা পুঁিজ দিয়ে বিভিন্ন মালামাল সহ তাকে একটি দোকানও নিয়ে দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। বাড়ির পাশে বেতুয়াবাজার ব্রীজের সন্নিকটে একটি খাবার দোকানের সামনে মরিয়মের দোকান।
জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে স্বামী পরিত্যক্ত নারী মরিয়ম বেগমের দোকানটি উদ্বোধন করেছেন। এসময় বিএমচর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) মো.হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর মরিয়ম বেগমের দোকান ও তাঁর ব্যাপারে খবর-খবরা রাখতে ভুমি কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। ওইসময় উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম তাঁর ব্যক্তিগত তরফ থেকে মরিয়ম বেগমকে আরো সহায়তার আশ্বাস দেন।
বিএমচর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) মো.হেলাল উদ্দিন বলেন, বিয়ের পর স্বামী মোহাম্মদ আলম মারা গেলে সেই থেকে মরিয়ম বাপের বাড়িতে থেকে কোনমতে জীবন-যাপন করে আসছিলো। সংসারে তার কোন সন্তান নেই। অভাবের তাড়নায় সে নিজের জন্য দু’মুটো অন্ন জোগাড় করতে প্রায় ১৫বছর ধরে উপজেলা সদরসহ আশপাশ এলাকায় ভিক্ষা করেছেন। সারাদিনে কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ঠে পাওয়া ভিক্ষার টাকা দিয়ে তরিতরকারি কিনেছেন আর বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে পাওয়া চাউল রান্না করে কোনমতে খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, প্রায় একমাস আগে মরিয়ম ভিক্ষা করতে যান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে। ওইসময় সেখানে ইউএনও স্যার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ওইসময় দুইজন মিলে সিদ্বান্ত নেন বিধবা নারী মরিয়ম বেগমকে আর্থিক অনুদান দেয়ার মাধ্যমে স্বাবলম্বি করতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সেই সিদ্বান্তের আলোকে অবশেষে মরিয়মকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। ওই টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করে বাড়ির পাশে একটি পানের দোকান নিয়ে দেওয়া হয়েছে মরিয়মকে। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে তাকে একটি ছাগল কিনে দেয়ার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেন, আমরা চাই আগামী দিনের চকরিয়া উপজেলা হবে ভিক্ষুকমুক্ত। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আজকে মরিয়ম মতো একজন বিধবা নারীর রুটি-রুজির দিশেহারা খুলে দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আশা করি আগামীতে এ ধরণের আরো অনেক নারীকে ভিক্ষামুক্ত করতে পারবো। তিনি বলেন, কেউ ভিক্ষা পেশা ছেঁড়ে সুন্দর জীবন গড়তে চাইলে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।