কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে উবীনিগ‘র সৃজিত প্যারাবন কেটে উঝাড় করছে এরই পাহারাদার। মহেশখালী চ্যানেলে ঝাঁক দিয়ে মাছ ধরা, জালানী ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্য এ গাছ কিনছে জেলে সহ সাধারন মানুষ। রক্ষকই এখন ভক্ষক হিসাবে কাজ করছে। রাতের আঁধারে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর এ প্রতিবেদক সরেজমিন গত ২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় গিয়ে দেখতে পান প্যারাবনের ভিতরে কাটা গাছের বেশ কয়েকটি স্তুপ।
প্রায় অধর্ শতাধিক কাটা গাছের সন্ধান মিলে, যা ভিডিও সহ আলোকচিত্র ধারন করা হয়। জানা যায়, উবীনিগ প্যারাবনটি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য স্থানিয় বদরখালী দাতিনা খালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর পুত্র শাহ আলমকে নিয়োগ করে। আর সেই রক্ষকই স্থানিয় টুটিয়াখালী পাড়া ইউসুপ আলীর পুত্র আব্দুল হান্নানের সহযোগিতায় প্যারার গাছ কেটে উঝাড় করছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শিরা। উল্লেখ্য যে, মহেশখালী চ্যানেলের বদরখালী ওয়াপদার বেড়ী বাঁেধর মহেশখালী সেতু থেকে দক্ষিন দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশে বেড়ী বাঁধ এবং উপকূলের পরিবেশ রক্ষার জন্য বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উবীনিগ প্যারাবনটি গত ১৪ বৎসর আগে সৃজন করে। এর দ্বারা বদরখালীর ৪০ হাজার মানুষের প্রানের বেড়ী বাঁধটি নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন প্যারাবনটি কেটে উঝাড় করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বদরখালীর চল্লিশ হাজার মানুষের এমন অভিমত বদরখালী ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি হাছান কোম্পানি। এব্যপারে দোষী ব্যাক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বলেন তিনি। প্যারাবন কাটার বিষয়ে পাহারাদার শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।
এ বিষয়ে ফাঁিসয়াখালী ফরেস্ট অফিসের বদরখালীর বারেক প্রিয় গ্রামকে বলেন,উক্ত জায়গা উপকূলীয় বন বিভাগের অধিনে শাপলাপুর বিট অফিসের। উপকূলীয় বিট শাপলাপুরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত জায়গা তাদের অধিনে নয় বলে জানান। এবং এ প্যারাবনটি উবীনিগের এবং এটা তারাই রক্ষনাবেক্ষন করছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। সাধারন মানুষের প্রশ্ন এ প্যারাবনের সরকারের কোন বিভাগের? সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন এলাকা বাসী। কারন এ প্যারাবনের সাথে বদরখালীর ৪০ হাজার মানুষের স্বার্থ জড়িত।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।