চকরিয়ায় অপহরণকারীদের কথা ফাঁস করার অভিযোগে বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়–য়া দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইত্তখার উদ্দিন আহমদকে বেদড়ক পিটিয়ে মাঁথা ফাটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দুপুরে পৌরশহরের পাইলট হাইস্কুল এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারকে অভিযুক্তরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থী ইত্তখার উদ্দিন আহমদ চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক গ্রামের বাসিন্দা এবং মহেশখালী উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারি ও উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মুহিউদ্দিন মানিকের ছেলে। সন্তানদের লেখাপড়ার সুবাদে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চকরিয়া পৌরশহরে ভাড়াবাসায় বসবাস করে আসছেন।
চকরিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ইত্তখার উদ্দিন আহমদ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানান, বিদ্যাপীঠে লেখাপড়া ও পৌরশহরের বাসায় বসবাসের সুবাদে তাঁর সাথে পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা গ্রামের ফজল করিমের ছেলে ডুলাহাজারা কলেজের ছাত্র শাকিলের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। তবে শাকিলের গতিবিধি ও আচরণ ভাল না হওয়ায় তিনি অনেকদিন আগে তার সাথে সখ্যতা পরিত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থী ইত্তখার উদ্দিন আহমদ জানান, শাকিলেরা ১০/১২ জনের একটি চক্র আছে, যারা অপহরণের সাথে জড়িত। কিছুদিন আগে বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া অপর সহপাঠি শায়েমকে ফুসলিয়ে তাঁরা (শাকিলরা) লামা অথবা আলীকদমে নিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনা কৌশলে শায়েমকে জানিয়ে দেয় ইত্তখার উদ্দিন। এতে ভেস্তে যায় তাদের অপহরণ পরিকল্পনা।
হামলার শিকার শিক্ষার্থী ইত্তখার উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, সহপাঠিকে অপহরণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শাকিলের নেতৃত্বে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পাইলট হাইস্কুল এলাকার একটি আস্তানায় নিয়ে গিয়ে তাকে বেদম প্রহার করে অভিযুক্তরা। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর মাথার একাধিক স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়। এদিকে ঘটনার দিনই হামলাকারী শাকিলকে প্রধান আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত শিক্ষার্থী ইত্তেখারের বাবা মুহিউদ্দিন মানিক।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।