২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়ায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

picsart_1480980780286
র‌্যাব-৭,কক্সবাজার ইউনিটের সদস্যরা জেলার চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার দুইটি দেশীয় অস্ত্র তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অস্ত্র,গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জমাদি উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার সকালে র‌্যাব-৭,কক্সবাজার ইউনিটের ডিএডি মো.সুলতান মাহমুদ বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের চরনদ্বীপস্থ মুজিব কিল্লা এলাকার নুর মোহাম্মদ ওরফে ধলা মিয়া মাঝির ছেলে আবদুল মান্নান (৩৮) ও তার ভাই আইয়ুব খান (২৮),উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকার মৃত আবদুস বাসুর ছেলে নুরুল আলম (৫০), উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী গ্রামের ইদ্রিছ আহমদের ছেলে নুর উল্লাহ (৪৪),একই গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী জনুয়ারা বেগম (৩৮) ও কুতুবদিয়া উপজেলার কাজিরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিন মিয়া (২৫)সহ ও পলাতক ২ জন সহ সর্বমোট ৮ জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় সংশ্লিষ্ঠ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পলাতক দুই আসামীরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকার নুরুল ইসলাম ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী গ্রামের আবদুল জলিল।

চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, অভিযানের পর র‌্যাব সদস্যরা উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে চকরিয়া থানায় সৌর্পদ্দ করেছে। এরপর গতকাল সোমবার সকালে র‌্যাবের ডিএডি বাদি হয়ে থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ৬জনকে সোমবার বিকালে আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা যায়,র‌্যাব-৭,কক্সবাজার ইউনিটের সদস্যরা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার দুইটি দেশীয় অস্ত্র তৈরীর কারখানা অভিযান চালিয়ে ২০ টি দেশীয় তৈরী বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র,৪৯ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জমাদিসহ ৬ জন অস্ত্র কারিগরকে আটক করে। রোববার সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত র‌্যাব-৭,কক্সবাজার ইউনিটের সদস্যরা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার দুইটি দেশীয় অস্ত্র তৈরীর কারখানা অভিযান চালিয়ে ৮ টি এক নলা বন্দুক,১ টি দুই নলা বন্দুক, ২ টি ৩০৩ দেশীয় রাইফেল, ১ টি ২২ দেশীয় রাইফেল,৮ টি ওয়ান শুটারগান,৪৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি,৪ রাউন্ড ৩০৩ দেশীয় রাইফেলের গুলি ও অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জমাদিসহ ৬ জন অস্ত্র কারিগরকে আটক করে।

র‌্যাব-৭,র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার/সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)মোঃ সোহেল মাহমুদ,পিপিএম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানা যায়, র‌্যাব-৭,কক্সবাজার ইউনিটের সদস্যরা রোববার সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার দুইটি দেশীয় অস্ত্র তৈরীর কারখানা অভিযান চালিয়ে ৮ টি এক নলা বন্দুক,১ টি দুই নলা বন্দুক, ২ টি ৩০৩ দেশীয় রাইফেল, ১ টি ২২ দেশীয় রাইফেল,৮ টি ওয়ান শুটারগান,৪৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি,৪ রাউন্ড ৩০৩ দেশীয় রাইফেলের গুলিসহ অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জমাদি যথা-২ টি লেথ মেশিন,১ টি হাত ড্রিল,২ টি হেক্সা মেশিন,৩৭ টি হেক্সাব্লেড,৩ টি ট্রিগার গার্ড,১ টি বাট,৪ টি পাইপ/ব্যারেল, ৩ টি হাতুড়ি.৩ টি স্ক্রু ড্রাইভার,রেত, কাটিং মেশিন, বিশেষ ধরনের পাসষ্ট, বাটাল,¯িপ্রং,নাট/ভোল্টসহ অস্ত্র তৈরীর কারিগর কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার নুর মোহাম্মদ প্রকাশ ধলা মিয়া মাঝির পুত্র আবদুল মান্নান (৩৫) ও আইয়ুব খান (২৭), চকরিয়ার ইতমনি এলাকার মৃত আবদুল বাসদের পুত্র নুরুল আলম (৫০), কুতুবদিয়া উপজেলার কাজির পাড়া এলাকার আমির হোসেনের পুত্র মহিউদ্দিন মহিন মিয়া (২৪), চকরিয়ার ছাড়িয়াখালী এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী জোনুয়ারা বেগম (৩৮) ও চাইরাখালী এলাকার ইদ্রিস আহমদের পুত্র নুরল্লা (৪৫) কে আটক করে।

উল্লেখ্য,র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ বৎসর ১লা জানুয়ারি ২০১৬ হতে অদ্যবধি সর্বমোট ১’শত ৫৬ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র (একে-২২ (এসএমজি)-০১টি, বিদেশী পিস্তল-৩৬টি, দেশী পিস্তল-০৩টি, বিদেশী রিভলবার-০২টি, এসবিবিএল- ৩৮টি, ডিবিবিএল- ০২টি, শর্টগান- ০২টি, ওয়ান শুটারগান- ৬৮টি, কাটা রাইফেল-০১টি, .৩০৩ দেশীয় রাইফেল-০২ টি এবং .২২ দেশীয় রাইফেল-০১ টি) সহ মোট ৪২টি ম্যাগাজিন, ৩,৭২৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি/কার্তুজ, ৮৪ রাউন্ড খালি খোসা, ১৫টি ককটেল এবং ১৯টি রকেট ফ্লেয়ার উদ্ধার করেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।