কক্সবাজারের চকরিয়ায় এলজিএসপির কাজের অডিটের জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সভা চলাকালে মেম্বারদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন চার মেম্বার (ইউপি সদস্য)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিএমচর ইউনয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
আহত চার ইউপি সদস্য হলেন- বিএমচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জিয়াদুল ইসলাম সেলিম (৩৩), ৭ নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান (২৬), ২ নং ওয়ার্ডের জুনাইদ (৩৫) ও ৯ নং ওয়ার্ডের আবদুল হামিদ (৪০)। তাদের মধ্যে দুইজনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে লিপ্ত সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। তবে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেছেন এলজিএসপির অডিট নিয়ে নয়, ৭ নং ওয়ার্ডের বিচার করা নিয়ে মেম্বারদের হাতাহাতি হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ইউপি সদস্য মিজান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এলজিএসপির ১৫-১৬ ও ১৬-১৭ অর্থবছরের কাজ নিয়ে অডিট চলে। অডিট চলার সময় ৯ ওয়ার্ডের ৯টি কাজে অনিয়ম পায় অডিট দল। তার মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ডে একটি কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াদুল ইসলাম সেলিমকে প্রশ্ন করে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চায় অডিট টিম। এসময় সেলিম জানায়, এলজিএসপির ৯ ওয়ার্ডের ৯টি কাজই চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম নিজে ও তার ভাগিনা জোবাইদ মিলে করেছে। এ কাজে তারা জড়িত নয়। এ বক্তব্য দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জোবাইদ মেম্বারদের শাসায়। পরে আড়াইটার দিকে চেয়ারম্যান তার ভাগিনা জুবাইদ ও ৫-৬ জন বহিরাগত লোক এসে সেলিম ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম প্রিয় চট্টগ্রামকে বলেন, কাজের অডিট নিয়ে কোন ঝামেলা বা মারমারি হয়নি। আমি কাউকে মারিনি। গত মঙ্গলবার ৭ নং ওয়ার্ডে বিরোধীয় জমিতে ঘর বাঁধা নিয়ে বিরোধে জড়িতদের ডাকতে দুইজন চৌকিদার পাঠানো হয়। ওই চৌকিদারদের নিজের ওয়ার্ডে ঢুকতে বারণ করে শাসায় যুবলীগ নেতা ও মেম্বার মিজানুর রহমান। এছাড়া বুধবার ৭ নং ওয়ার্ডে জমির সীমানা বিরোধের জরিপ নিয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার গেলে তাকেও ৭ নং ওয়ার্ডে প্রবেশ করায় বকাঝকা করা হয়। এ নিয়ে মেম্বারদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আরো বলেন, বৃহস্পতিবার অডিট টিমের উপস্থিতিতে পরিষদের সভা চলে। এক পর্যায়ে দুপুরের খাবার খেতে বাইরে অবস্থান করা সেলিম ও মিজান মেম্বারকে ডাকতে পাঠানো হয়। এসময় ডাকতে যাওয়া মেম্বারদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এতে চার মেম্বার সামান্য আঘাত পায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।