চকরিয়ায় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে ও সহযোগিরা হামলা করেছে ছাত্রীটির পরিবার সদস্যদের ওপর। এতে ওই ছাত্রীসহ পরিবারের ৪জন সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। ঘটনার পরপর স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এঘটনায় আক্রান্ত ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় অভিযুক্ত বখাটে ও সহযোগিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধ্যমপাড়া গ্রামের নুর খাঁনের অপ্রাপ্ত মেয়ে স্থানীয় সাহারবিল বিএমএস হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। ওই ছাত্রী নিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার শামসুল আলমের বখাটে ছেলে মোঃ তারেক গত ৬মাস ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত ও ইভটিজিং করে আসছে।
সোমবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় বখাটে ছেলে তারেক ওই ছাত্রীকে আটকে কুপ্রস্তাব ও চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রীর শোর-চিৎকারে পথচারী আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছাত্রী দৌড়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করেন।
পরিবারের লোকজন জানান, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে হুমকি দেন অভিযুক্ত বখাটে ও তাঁর সহযোগিরা। এরই জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত বখাটে ও সহযোগিরা মিলে ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এসময় তারা কুপিয়ে ও মারধর করে ছাত্রীসহ ৪জনকে গুরুতর জখম করেন।
আক্রান্ত ছাত্রীর বাবা নুরখাঁন জানান, হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে (৪০) উদ্ধার করতে তার চাচা নাজেম উদ্দিন (৬০) এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা। এসময় বাঁধা দিতে গেলে ছাত্রীর চাচী বুলবুল জন্নাত (৩৫) ও তাঁর মেয়ে স্কুলছাত্রীকে বেদম প্রহার করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান,ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে করায় বখাটের হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।