২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর চকরিয়ায় অনুষ্ঠিত গণশুনানীর ফলে তাঁর অগ্রগতি কি হলো তা জানতে চাইলেন দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন। তিনি ১৬ মার্চ সকাল ১১টায় চকরিয়ার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, টিআইবি’র কর্মকর্তা, সনাক ও দুপ্রকের সদস্য এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন এবং সরকারি দপ্তরগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। এসময় তিনি অনুষ্ঠিত গণশুনানীর ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো কতটুকু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে দপ্তরভিত্তিক জানতে চান।
শুরুতে দুপ্রকের উপজেলা সভাপতি মোঃ নোমান বলেন, গণশুনানীর ফলে শতভাগ সফলাতা না এলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরপর টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার মো: জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চান গণশুনানীর ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করা, সাপ্তাহিক গণশুনানীর আয়োজন, সকল স্টাফদের পরিচয় পত্র প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ফলোআপের অভাবে আশানুরূপ অগ্রগতি সাধিত হয়নি। এরপর সনাকের সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সনাক সদস্য রুনেন্দু বিকাশ দে কথা বলেন। এরপর দুদক কমিশনার উপজেলা হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চান। জবাবে আরএমও ডা. ছাবের বলেন, হাসপাতাল ব্যব¯’াপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি দিনে দু’বার পুলিশি টহলের ব্যব¯’া করা হয়েছে। এরপর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ দিদারুল আলম দুদক কমিশনারের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চকরিয়া ভূমি অফিসে মানুষের হয়রানী দুর করতে তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করা হয়েছে, স্টাফদের ছবি দেয়া হয়েছে এবং সাপ্তাহিক গণশুনানীর আয়োজন করা হয়।
এসময় দুদক কমিশনার বলেন, গণশুনানীর রেজিষ্টার রাখতে হবে এবং পরবর্তীতে সেগুলো ফলোআপ করতে হবে। তিনি বলেন, স্টাফদের নাম পরিচয় উল্লেখ করে ছবি ও মোবাইল নম্বরসহ বোর্ড টাঙ্গাতে হবে। তিনি ভূমি অফিসের সেবা আরো সহজ করার জন্য উপজেলার সকল ইউনিয়নে গিয়ে গণশুনানী আয়োজনের জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে তাগিদ দেন। এর পর পল্লী বিদ্যুতের সেবায় অনিয়ম বন্ধে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান ডিজিএম মোঃ আবদুস সামাদের কাছে। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছিলো তার বেশীরভাগের সুরাহা করা হয়েছে। এরপর দুদক কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, জনগণকে হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে সকলকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চকরিয়া উপজেলাকে বেঁচে নেয়া হয়েছে দুর্নীতিমুক্ত মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। তাই সকলকে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করতে হবে। কোন ধরণের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে তিনি হুসিয়ারি উ”চারণ করেন। তিনি আরো বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল চকরিয়ায় ফলো আপ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে, তখন তিনি পূর্বের গণশুনানীর অগ্রগতি যাচাই করবেন। দুদক কমিশনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামকে গণশুনানী আয়োজনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।