২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

চকরিয়ায় জামিনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে আসলেন ২৪ ফেরারী আসামি

চকরিয়া থানার সামনে মামলার পলাতক ২৪ আসামি জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে মুক্তিলাভের পর তোলা ছবি।

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): পরিবারের অভাব অনটন লাগব করতে কিংবা সহযোগিদের খপ্পড়ে পড়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধে জড়ান তাঁরা। চুরি করতেন বনবিভাগের মুল্যবান বনজসম্পদ। আবার দখলে নিতেন বনভুমি। এসব ঘটনায় স্থানীয় বনবিভাগ তাদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে একাধিক মামলাও রুজু করেছে আদালতে। এরপর থেকে তাঁরা গ্রেফতার এড়াতে ছিলেন এলাকার বাইরে। রাতে একদিন বাড়ি ফিরলেও পুলিশের ভয়ে অনেকে ভোররাতে আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতেন। এভাবে চলেছে তাদের জীবনচিত্র। কথা গুলো বলছিলাম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ২৪জন ফেরারী আসামির কথা।
কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মজনু, হেলাল উদ্দিন ও রেজাউল করিম তারা সবাই হতদরিদ্র পরিবারের গৃহকর্তা। তাদের আয়ের চলে নিজ নিজ সংসার। ফেরারী আসামি চব্বিশ জনের পারিবারিক অবস্থা একই। উপজেলার কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের এই চব্বিশজন গৃহকর্তা বন মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
জানা গেছে, সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রনে বন মামলার ওয়ারেন্টি আসামী বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছিল। ফলে পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এসব ফেরারী আসামীদের জামিনে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার মাধ্যমে তাদের পরিবারে স্বস্থি ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তাকে সহায়তা করেন কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান।
চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.মিজানুর রহমান বলেন, থানার ওসি বখতিয়ার চৌধুরী ও কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমানের সম্বন্নিত উদ্যোগে সাড়া দেন বন মামলার চব্বিশ জন ফেরারী আসামী। তারা গতকাল সোমবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান শওকতের সাথে চকরিয়া থানায় হাজির হন। পরে থানার ওসি বখতিয়ার চৌধুরীসহ চব্বিশ আসামীকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, আদালতে উপস্থিত হয়ে এসব আসামি আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিদের বক্তব্য শোনে এবং আসামীদের পারিবারিক অবস্থাসহ মামলার ধরন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার সার্থে সবাইকে জামিনে মুক্তি দেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চকরিয়া উপজেলার পাহাড়ি জনপদে অন্তত দশটি ইউনিয়নে বন মামলার অসংখ্য ফেরারী আসামী রয়েছে। মামলা সত্য হোক আর মিথ্যা হোক তাঁরা আসামি। ফলে এসব ব্যক্তিরা মামলার হুলিয়া নিয়ে পলাতক থাকার কারনে পরিবারে দু’মুঠো আহার জোগান দিতে পারছেনা। এ অবস্থার কারনে অনেকে নানা ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছিল।
ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উপজেলার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে মামলার ২৪জন ফেরারী আসামিকে ভবিষ্যতে আর কোনদিন অপরাধ কর্মকান্ড না করার অজুহাতে জামিনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জামিনে মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুরুপভাবে অন্যান্য বন মামলার জামিনযোগ্য পলাতক আসামীদেরও মুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।