এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া: চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দরবেশ কাটা জামে মসজিদের নামে ৮০ কানি সম্পত্তি থাকলেও দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই। অভিযোগ উঠেছে, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সংশ্লিষ্টদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার কারনে বর্তমানে মসজিদটি সৌর্ন্দয্য হারাতে বসেছে। এ অবস্থার কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ স্থানীয় সর্বস্তরের লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দরবেশ কাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে বর্তমানে সম্পত্তি আছে প্রায় ৮০ কানি। প্রতিকানি জমি বছরে (মাছ-লবন) ৩০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হচ্ছে। এভাবে মসজিদের সম্পত্তি ইজারা খাতে বছরে আয় ২৪ লাখ টাকা। প্রায় ৫০ বছর আগে ৮০ কানি সম্পত্তি মসজিদের নামে ওয়াকফ করা হয়েছিল। সেই থেকে লাখ লাখ টাকা আয়ের পরও বর্তমানে মসজিদের দৈন্যদশার কারনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। মুসল্লীসহ জনগনের প্রশ্ন আয়ের টাকা যাচ্ছে কোথায়।
জানা গেছে, উপকুলীয় জনপদে নয়নাবিরাম প্রাকৃতিক সুন্দর এই মসজিদের নেই কোন ওজু করারর ঘাট। মসজিদের পুকুরটি ও বছরে নাম মাত্র টাকায় ইজারা দেয়া হয় প্রবিছর। সংশ্লিষ্ট ইজারাদার চক্র মসজিদ পুকুরে কেমিক্যালযুক্ত মাছের খাদ্য দিচ্ছে। এতে পুকুরের পানি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
এমনকি দীর্ঘবছর ধরে মসজিদে নেই আজান দেয়ার জন্য মাইক ও সাউন্ডবক্স ও নেই। এছাড়াও ভালমানের একটি পাকা নেই। গতবছর স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট রবিউল এহেসান লিটনসহ কয়েকজন মিলে মসজিদে সাউন্ডবক্স কিনে দিয়েছেন।
স্থানীয় মুসল্লি মাষ্টার সাইফুল্লাহ ও বাদশা মিয়াসহ অনেকে জানান, আমাদের জানামতে বাংলাদেশে এত পরিমাণ সম্পত্তি কোন মসজিদের নামে আছে কিনা সন্দেহ। বছরে ২৪ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেও তবু দরবেশকাটা মসজিদের করুণ দশা চলছে।
এলাকাবাসি জানান, বর্তমানে মসজিদের দক্ষিণ পাশের দেওয়াল প্রায় ভেঙ্গে গেছে। উন্নয়ন বঞ্চিত হবার ফলে মসজিদটি দিনদিন সৌর্ন্দয্য হারাচ্ছে। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ এলাকাবাসি মসজিদটির উন্নয়নে ৮০ কানি সম্পত্তির হিসাব ও তহবিলের টাকা পুনরুদ্ধারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।