এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় বসতভিটার সীমানা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবা-ছেলেসহ একই পরিবারের ৫জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে নেজাম উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটাস্থ পাহাড়িয়াপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। অন্য আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত নেজাম উদ্দিন ওই এলাকার লালু মিকারের ছেলে।
আহতরা হলেন বিএমচর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের বহদ্দারকাটাস্থ পাহাড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত কবির আহমদের ছেলে লালু মিকার (৫২), তাঁর ছেলে মোহাম্মদ এহেছান (১৭), ভাই রহুল আমিন (৪৬) ও ভাতিজা মোহাম্মদ হোসেন (১৮)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, হামলার শিকার লালু মিকারের বসতভিটার সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশি ছাবের আহমদের ছেলে মনজুর আলম গংয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। গতকাল দুপুরে মনজুর আলমসহ তাঁর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে লালু ফকিরের বসতভিটা দখল করে টিনের বেড়া দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে লালু ফকির ও তাঁর ছেলে এবং ভাই-ভাতিজা এসে অভিযুক্ত মনজুর আলম পক্ষকে বাঁধা দেন এবং পরিষদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরণের স্থাপনা না করতে অনুরোধ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঁধা দেয়ার জেরে মনজুর আলম পক্ষের লোকজন হামলা করে লালু ফাকির পক্ষের ওপর। ওইসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লালু মিকার পক্ষের ৫জন আহত হন। তারমধ্যে রাত সাতটার দিকে চমেক নেয়ার পথে লালু ফকিরের ছেলে নেজাম উদ্দিন মারা গেছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বসতভিটার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। এখনো নিহতের লাশ থানায় আনা হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।