চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ পুর্ব ডুমখালী এলাকার মিঠাছড়ি এলাকায় ছুরিকাঘাতে মাহমুদ খুনের ঘটনার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন নিহতের বাবা জাকের আহম্মদ। জায়গা বিক্রির টাকা নয়, তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মাহমুদকে খুন করা হয়েছে ধার দেয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে। ঘটনার দিন ৯ ফেব্রুয়ারী সকালে তাঁর ছেলে মাহমুদ ধার দেয়া টাকা ফেরত চাইতে যান ঘাতক আহমদ হোসেন ভেট্টুর কাছ থেকে। এসময় দুইজন মিঠাছড়ি গ্রামের নুরবানুর বাড়ি পাশে বসে টাকার ব্যাপারে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ঘাতক ভেট্টু মারমুখী হয়ে আঘাত করতে চেষ্ঠা করেন মাহমুদকে। ওইসময় বাড়ির গৃহকর্ত্রী নুরবানু এসে তাদেরকে বাঁধা দিতে চেষ্ঠা করেন।
জাকের আহম্মদ বলেন, ঘটনার সময় ঘাতক ভেট্টুর ছুরিকাঘাতে মধ্যস্থতাকারী নুরবানু আহত হন। ঘটনার পর একটু দুরে নাজেম সওদাগরের দোকানে ঢুকে ফের দুইজন সংঘাতে লিপ্ত হন। ওইসময় ঘাতক আহমদ হোসেন ভেট্টু একে একে ৫টি ছুরিকাঘাত করেন আমার ছেলে মাহমুদকে। ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মাহমুদকে উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী অনেক স্বাক্ষী আছে। তাঁরা ঘটনার ব্যাপারে প্রকাশ্যে স্বাক্ষী দেবে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম ও এসআই জাহাংগীর আলমের নেতৃত্বে পুলিশদল ঘটনাস্থল পৌঁছে জনগনের সহায়তায় ঘটনায় জড়িত ঘাতক আহমদ হোসেন ভেট্টুকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ভেট্টু একই গ্রামের মৃত আলতাজ আহমদের ছেলে। তাকে প্রথমে স্থানীয় মালুমঘাট খ্রীষ্টান হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অপরদিকে ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ওইদিন জাকের আহম্মদ বাদি হয়ে এদিন বিকালে চকরিয়া থানায় ৩২৬, ৩০৭ ও ৩০২ ফৌজদারী কার্যবিধি ধারায় একটি হত্যা মামলা (নং ৩০) দায়ের করেন। মামলাটিতে একমাত্র আসামি করা হয়েছে গ্রেফতারকৃত আহমদ হোসেন ভেট্টুকে।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, ঘটনার সময় দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে মাহমুদ খুন হলেও গুরুতর আহত হয় মামলার একমাত্র আসামি ভেট্টু। ছুরিকাঘাতে তার হাতের কয়েকটি রগ কেটে যায়। এ কারনে ঘটনার দিন দুপুরে পুলিশ পাহারায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, চমেক হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসা শেষে ইতোমধ্যে মামলার আসামি ভেট্টুকে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।