এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া):
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান আলেমেদ্বীন পীরে কামেল শাহসুফি আলহাজ শাহ মাওলানা হাবিবুর রহমান (১০০) এর নামাজে জানাযা ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় উপজেলার বদরখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে অনুষ্টিত হয়েছে। হুজুরকে এক নজর দেখতে নামাজে জানাযায় হাজার হাজার ভক্ত, মুরিদান, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেনী-প্রেশার সর্বস্থরের মানুষ উপস্থিত হন।
আগেরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টায় বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহির রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও মুরিদান রেখে যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে ভোগছিলেন।
হুজুরের নামাজে জানাযায় অংশ নেন পীর সাহেব খুটাখালী আলহাজ্ব মাওলানা আবদুল হাই, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো.ইলিয়াছ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম বুলবুল, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মানিক, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, সাধারণ সম্পাদক ও শাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মো.মহসিন বাবুল, বদরখালী সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল হান্নান বিএ, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, সমিতির বর্তমান সভাপতি নুরুল আলম সিকদার, সাবেক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন টিটুসহ অসংখ্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণকালের বৃহত্তর এ জানাযায় মানুষের উপস্থিতি ছিলো অগণিত। সকলের প্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষটির নামাযে জানাযায় অংশ নিতে মাঠ জুড়ে শোকাহত জনতার ঢল নামে।
অনুষ্ঠিত নামাযে জানাযায় সমবেত হন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রভাবশালী প্রশাসন বদরখালী কৃষি ও উপনিবেশ সমবায় সমিতির কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আলেম সমাজ, শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক সমাজ, ব্যবসায়ী সমাজ, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
পীরে কামেল মাওলানা হাবিবুর রহমান দরবারে আলিয়ায়ে গারাঙ্গীয়ার বড় হুজুর কেবলা (রা:) এর খেলাফত প্রাপ্ত খলিফা ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কক্সবাজার জেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকরিয়ার সাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল (এমএ) মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং চকরিয়ার বদরখালী এমএস ফাজিল মাদরাসায়ও দীর্ঘ ২০ বছর পযর্ন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর ওই মাদরাসায় সম্মানীয় পদবী হিসেবে রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও মাওলানা হাবিবুর রহমান বদরখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বদরখালী ঈদগাহ ময়দানের ঈদ জামাতের খতিব ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।